মুসলমান এবং বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চলমান সহিংসতার জের ধরে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা শরণার্থীদের বাংলাদেশে ঢুকতে দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর’র প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যান্ডার্স এ আহবান জানান বলে জানিয়েছে বিবিসি।
একজন বৌদ্ধ নারীকে ধর্ষণের জের ধরে রাখাইন প্রদেশে বৌদ্ধ-মুসলমান বাঁধা দাঙ্গা অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ জনে। এ কারণে পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। জাতিসংঘ ওই অঞ্চল থেকে সংস্থাটির কর্মীদের সরিয়ে নিতে শুরু করছে।
এ সহিংসতার জের ধরে আক্রান্ত রোহিঙ্গারা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে গেলে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বিজিবির সদস্যরা তাদের অধিকাংশকেই ফিরিয়ে দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত কমপক্ষে ছটি নৌকাভর্তি শরণার্থীকে বিজিবি সীমান্ত দিয়ে ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন ইউএনএইচসিআর’র প্রতিনিধি ক্রেইগ স্যান্ডার্স। তিনি আরো বলেন, অল্পসংখ্যক শরণার্থীই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে পারছেন। কেননা, দুই সীমান্তেই নিজ নিজ দেশের বাহিনী নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
ক্রেইগ স্যান্ডার্স ওই শরণার্থীদের সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার যেনো যতোটা সম্ভব সীমান্ত শিথিল রাখে এবং আশ্রয়প্রার্থীদের প্রবেশ করতে দেয়, আমরা সে আবেদন জানিয়েছি। বিশেষ করে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসতে গিয়ে যারা আহত হয়েছেন তাদেরকে আগে ঢুকতে দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে।’
এদিকে মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সিতওয়ে এলাকার একজন বৌদ্ধ মহিলা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ‘মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় প্রচুর রোহিঙ্গা মুসলমানের বাস। তারা আমাদের ভয় দেখাচ্ছেন, হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আমাদের কোনো আবেদনেই কান দিচ্ছেন না তারা। আমি খুবই ভয় পেয়েছি এবং পালিয়ে এসেছি।’