হাজার হাজার রাশিয়ান মঙ্গলবার দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ বিক্ষোভে অংশ নেয়। রাশিয়ায় সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে বাতিল ঘোষণা করে নতুন করে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি করা হয় বিক্ষোভ থেকে। তবে প্রেসিডেন্ট পুতিন রাশিয়াকে দুর্বল না করার জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
সাম্প্রতিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর রাশিয়ায় এই প্রথম বড় ধরণের সরকার বিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো। ব্যাপকভাবে বিতর্কিত ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তৃতীয়বারের মত প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেন ভ্লাদিমির পুতিন।
সংবাদমাধ্যম জানায় বিক্ষোভকারীরা এ সময় পুতিন বিরোধী ব্যানার, প্লেকার্ড এবং পতাকা বহন করে মস্কোর কেন্দ্রস্থলের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় তারা স্লোগান উচ্চারণ করে , ‘পুতিন একজন চোর’ এবং ‘পুতিন বিহীন রাশিয়া’।
মস্কো পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর একটার দিকে এ বিক্ষোভ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা কমবেশি দশ হাজার বা তারও কম বলে উল্লেখ করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। তবে আয়োজনকারীরা জানিয়েছে বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়ে যায়।
প্রেসিডেন্ট পুতিনের সমালোচক একজন প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী ও ব্লগারের বাড়িতে পুলিশের অভিযান চালানোর একদিন পরই এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হলো।
এদিকে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রনে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে রুশ সরকার। শুক্রবার এ সংক্রান্ত একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন পুতিন। রাজপথে বেআইনী বিক্ষোভের সঙ্গে জড়িতদের জরিমানা বৃদ্ধি করা হয়েছে এ আইনে। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই আইনের নিন্দা জানিয়েছে দাবি করেছে, এই আইন সংবিধান বিরোধী। পুতিন বিরোধীরা এই আইনকে বিরোধীদের কণ্ঠ রুদ্ধ করার একটি প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করছেন।
নতুন আইন অনুযায়ী বেআইনী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের জরিমানা ৩ লাখ রুবল বা ৯ হাজার ২শ’ ডলার এবং এর সংগঠকদের জন্য দশলাখ রুবল জরিমানা করার বিধান রাখা হয়েছে। জরিমানার এই হার প্রায় রাশিয়ার বার্ষিক গড় বেতনের সমান।