গত ১০ বছরে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যমে দেশের ৬টি মোবাইল ফোন অপারেটরের কাছ থেকে ১০ হাজার ৬৮৮ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে সরকার।
মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু।
মন্ত্রী জানান, “২০০১ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের মে পর্যন্ত আয়ের ভাগাভাগির অংশ এবং লাইসেন্স ফি, স্পেকট্রাম ফি হিসেবে সরকার এ টাকা আয় করেছে।”
নাসিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, “গ্রামীণফোন সব মিলিয়ে বিটিআরসি’র কোষাগারে দিয়েছে ৫ হাজার ২০৬ কোটি ২০ লাখ টাকা। রবি জমা করেছে ২ হাজার ১১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। এছাড়া বাংলালিংক দিয়েছে ২ হাজার ৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর বাইরে সিটিসেল, এয়ারটেল এবং টেলিটক দিয়েছে যথাত্রক্রমে ৬০৪ কোটি ১২ লাখ, ৫৮৯ কোটি ৯৯ লাখ ও ১১৫ কোটি ২২ লাখ টাকা।”
মন্ত্রী জানান, “২০০১-০২ অর্থ বছরে কেবল বাংলালিংকের কাছ থেকে ১ কোটি ৮৮ লাখ টাকা আয় করে বিটিআরসি। আর কোনো অপারেটর সে বছর টাকা দেয়নি। তাছাড়া টেলিটক এবং এয়ারটেল আরো কয়েক বছর পর থেকে আয়ের অংশ বিটিআরসিকে দিতে শুরু করে।”
মন্ত্রী জানান, “মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কাছ থেকে সরকারের দুটি সংস্থা আয় করে। এর মধ্যে বিটিআরসি’র বাইরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আমদানি শুল্ক, কর্পোরেট ট্যাক্স এবং ভ্যাট বাবদ আয় করে। মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কাছ থেকে আয়ের বড় অংশটিই আসে এনবিআরের মাধ্যমে।”
এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগমন্ত্রী বলেন, “দেশে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার লাইন স্থাপন হয়েছে। মোবাইল গ্রাহকরা প্রতিদিন গড়ে ৪৭ কোটি মিনিট ভয়েস কল আদান-প্রদান করেন। এসএমএস আদান-প্রদান হয় ৬০ কোটি। ২০০১ সালে ভয়েস গ্রাহক ছিলেন ১২ লাখ। এখন তা সোয়া ৯ কোটি। ২০০১ সালে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল ৪০ হাজার, এখন তা ৪ কোটি ২ লাখ।
ফজিলা-তুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “টেলিটকের নেটওয়ার্ক বাড়ানোর জন্য ৭০০টি বিটিএস স্থাপনের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে দেশের মোট ৪৪৮টি উপজেলা টেলিটকের নেটওয়ার্কের আওতায় আসবে।”