সহায়ক কন্ডিশনে অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পেস আক্রমণে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন জাহানারা আলম। চতুর্থবারের মতো টুর্নামেন্টে অংশ নিতে যাওয়া এই পেসার বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে দল ভালো কিছু স্মৃতি নিয়ে ফিরতে পারবে। ছয়জন স্পিনারকে নিয়ে বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের শক্তিশালী একটি স্কোয়াড গঠন করা হয়েছে। সালমা খাতুনের নেতৃত্বাধীন দলে রয়েছেন বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে আলো ছড়ানো বাঁহাতি নাহিদা আখতার।
জাহানারা আউট সুইং বল করতে বেশ পারদর্শী। অস্ট্রেলিয়ায় ১০ দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প করার পর সেখানে আরো ভালো করার অস্ত্র খুঁজে পেয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি। জাহানারার উদ্বৃতি দিয়ে আইসিসি জানায়, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ায় খেলার ব্যাপারে কিছুটা রোমঞ্চিত, কারণ শুনেছি এখানকার পিচ বাউন্সি, এবং উইকেট থেকে সহায়তা পাব। এখানে আমি দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারছি। কিছুটা ভিন্নতা পাচ্ছি। তাই আমি বেশি রান দিতে চাই না। আর দলের হয়ে সেটিই হবে আমার মুল ভুমিকা।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে ১৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে দুটি মাত্র জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। তবে গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত বছাইপর্বে ৫ ম্যাচের সবকটিতে জয়ের মাধ্যমে নিজেদের উন্নতির প্রমাণ দিয়েছে দলটি। জাহানারা বলেন, ‘আমাদের মূল শক্তি হচ্ছে দলীয় একতা। দীর্ঘ সময় যাবত প্রস্তুতি নিয়েছি এবং আমরা আত্মবিশ্বাসী। এটি আমাদের চতুর্থ বিশ্বকাপ। এখন আমরা কিছুটা অভিজ্ঞ। যদিও প্রথমবারের মতো আমরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলতে যাচ্ছি।’
জাহানারার টি-টোয়েন্টি রেকর্ডও চমৎকার। এই ফর্মেটে বাংলাদেশের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৫ উইকেট শিকারী তিনি। সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির আসনে রয়েছেন অধিনায়ক সালমা খাতুন। বাংলাদেশ দলের হয়ে এখনো পর্যন্ত অর্জিত সেরা সফলতারও অংশ ছিলেন জাহানারা। ২০১৮ সালে ঐতিহাসিক ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া কাপের শিরোপা জয়ের সময় উইনিং রানটি এসেছিল তার কাছ থেকে। এবার বাংলাদেশ বেশি নির্ভর করছে অল-রাউন্ডার রুমানা আহমেদের উপর। যিনি ২০১৭ সালে আইসিসির উঠতি তারকার মর্যাদা পেয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া বিগ ব্যাশ লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
নিজের অভিজ্ঞতা সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া রুমানা বলেন, ‘সেটি ছিল আমার জন্য দারুন সুযোগ। প্রথম অস্ট্রেলিয়া সফরে আমি দারুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমি শিখেছি কিভাবে বড় দল ও খেলোয়াড়রা খেলার প্রস্তুতি নেয়। প্রতিটি অনুশীলন সেশনে আমি অনেক কিছু শিক্ষা নিয়েছি। বিশেষ করে জিম ও ফিটনেস সেশনে। সেটি ছিল দারুন অভিজ্ঞতা।’