ধানমণ্ডি থেকে বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

ধানমণ্ডি থেকে বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ

রাজধানীর ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকা থেকে সব বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতে রাজউকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে প্রতিষ্ঠানের মালিকদের নোটিশ দিয়ে আইন অনুযায়ী সময় দিতে হবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

সোমবার বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

এদিন একইসঙ্গে ধানমণ্ডিতে অবস্থিত ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১১টি শাখা একত্র করে তাদের নির্দিষ্ট স্থানে তিন বছরের মধ্যে সরাতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

হাইকোর্ট বেঞ্চ আরও বলেন, ‘ওই এলাকায় নতুন কোনো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়া যাবে না।’

রাজউকসহ পূর্ত সচিব, পরিবেশ সচিব, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, ঢাকার জেলা প্রশাসক, গণপূর্ত অধিদপ্তরের ধানমণ্ডি এলাকার নির্বাহী প্রকৌশলী, রাজউকের ওই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং ধানমণ্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে ২০১১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ধানমণ্ডি ১০/এ কল্যাণ সমিতির সভাপতি এফএম মাসুদ ও সম্পাদক এমএ মতিন আদালতে রিট দায়ের করেন। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ সালে আদালত রুল জারি করেন। রুলে ধানমণ্ডি আবাসিক এলাকার বৈশিষ্ট্য রক্ষা করতে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অপসারণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। একইসঙ্গে ওই এলাকায় কোনো ধরনের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান খোলার অনুমতি দেওয়ার ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত। রুলের দীর্ঘ শুনানি শেষে সোমবার রায় দেওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ ও রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেসুর রহমান।

মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘রাজউক নোটিশ দিয়ে বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাবেন। তবে ইতিমধ্যে মিরপুর রোড, ধানমণ্ডি-২৭, সাতমসজিদ রোড ও ধানমণ্ডি-২ এলাকায় যারা রাজউক থেকে অনুমোদন নিয়েছেন তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। তিন বছরের মধ্যে ম্যাপল লিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ১১টি শাখাকে একত্রিত করে আবাসিক এলাকা থেকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যেতে হবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে না সরানো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে নিজস্ব লোকবলের মাধ্যমে যানজট প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠানটিকে বলেছেন আদালত।’

এদিকে, ম্যাপল লিফের আইনজীবী ব্যারিস্টার এম মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, ‘আদালত ১১টি শাখা সরানোর কথা বলেননি। রায়ে কেবল ১১ নম্বর রোডের শাখাটি সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। এছাড়া আদালত তার পর্যবেক্ষণে ম্যাপল লিফের সব শাখা নির্দিষ্ট জায়গায় একসঙ্গে স্থাপনা করার জন্য বলেছেন।’

বাংলাদেশ