ফ্রান্সের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রথম দফায় ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয় হলাঁদের সমাজতান্ত্রিক দল এবং তাদের শরিকরাই এগিয়ে রয়েছে। প্রথম দফার ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে তারাই আগামী সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, সোশ্যালিস্ট, গ্রিনস এবং জোটের অন্য শরিক দলগুলো ৪৬ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছে। আর সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সরাকোজির মধ্যডানপন্থি ইউএমপি পার্টি পেয়েছে ৩৪ শতাংশ।
নির্বাচনের ফলাফলই ফ্রান্সের নতুন বামপন্থি নেতা ফ্রাঁসোয়া হলাঁদের অধীনে সংস্কার প্রক্রিয়ার গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফ্রান্সে তালিকাভূক্ত ভোটার চার কোটি ৬ লাখ। এ ভোটাররা ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ৫শ’ ৭৭ আসনের বিপরীতে সাংসদ নির্বাচন করবেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ফলাফল মোতাবেক, প্রথম দফায় ৩৬টি আসনে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে।
টিএনএস সফরেস, ইপসোস ও অপিনিওনওয়ে দল তিনটি সোশ্যালিস্ট ও গ্রিনস পার্টির সঙ্গে জোট গঠন করেছে। তারা সম্মিলিতভাবে ২৮৩টি আসনে জয়লাভ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এমনকি ৩৪৭টি আসনেও তারা জিততে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন। অপরদিকে পুঁজিবাদ বিরোধী বামফ্রন্ট ১৩ থেকে ২০টি আসনে জয় পেতে পারে।
এদিকে সোশ্যালিস্ট পার্টি ইউরোপ ইকোলজি, দ্য গ্রিনস এবং রেডিক্যাল লেফট পার্টির সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠন করেছে। এ জোট সম্মিলিতভাবে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে অনেকে নিশ্চিত করে বলছেন।
অপরদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলা সারকোজির ডানপন্থি ইউএমপি জোট গঠন করেছে মধ্যপন্থি রেডিক্যাল পার্টি এবং নিউ সেন্টারের সঙ্গে।
বামপন্থি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর এখন বামপন্থি জোট সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেলে ফ্রান্সের অর্থনৈতিক সংস্কারে গতি আসবে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। দেশটির দুর্বল অর্থনীতিতে হলাঁদের ‘কর দাও, খরচ করো’ নীতিও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।