পিনোশেকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে চিলিতে বিতর্ক-সংঘর্ষ

পিনোশেকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র নিয়ে চিলিতে বিতর্ক-সংঘর্ষ

চিলির সাবেক সেনাশাসক অগাস্তো পিনোশের স্মরণে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র উদ্বোধনের প্রতিবাদে রাজধানী শহরে বিক্ষোভ করেছে দেশটির শত শত নাগরিক। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘটে।

রাজধানী সান্তিয়াগোর টেট্রো কপোলিকান থিয়েটারে রোববার প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়। চিলির সেনাবাহিনীর সাবেক জেনারেল পিনোশের ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শাসনকাল সম্পর্কে এ প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করা হয়। প্রামাণ্যচিত্রটি দেখতে প্রায় ১ হাজার পিনোশে সমর্থক থিয়েটারে উপস্থিত হন বলে জানা যায়।

প্রামাণ্যচিত্রটির প্রদর্শনী উপলক্ষে জড়ো হওয়া পিনোশে বিরোধীরা এ সময় ‘খুনী, খুনী’ বলে চিৎকার করতে থাকে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করে।

সরকারি বাহিনীর এমন আচরণের ব্যাপারে অ্যাসোসিয়েশন অব রিলেটিভস অব ডিটেইনড অ্যান্ড ডিজঅ্যাপিয়ারডের ভাইস প্রেসিডেন্ট মিয়েরা গারসিয়া বলেন, প্রামাণ্যচিত্রটির মাধ্যমে একজন অপরাধীকে সম্মান জানানো হচ্ছে। আর পুলিশ পিনোশে সমর্থকদের সুবিধার্থে আমাদেরকে প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।

জানা যায়, প্রামাণ্যচিত্রটিতে ১৯৭৩ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে তৎকালীন সমাজতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট সালভাদরের বিরুদ্ধে মার্কিন সমর্থনপুষ্ট গ্রুপের তৎপরতার রাজনৈতিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

প্রামাণ্যচিত্রটিকে ঘিরে চিলিতে ইতিমধ্যেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। পিনোশে সমর্থকরা প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণের পক্ষে সাফাই গাইতে গিয়ে বাক্ স্বাধীনতার দোহাই দিচ্ছে।

অপরদিকে পিনোশে শাসনামলের ভুক্তভোগীরা এটি বন্ধের প্রতিই জোর দিয়ে চলেছে। এ সংক্রান্ত বিতর্ক চিলির আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে।

জানা যায়, পিনোশের শাসনকালে ৩ হাজার ২ শ’র বেশি মানুষ নিহত হয়েছে অথবা নিখোঁজ হয়ে গেছে। ৩৭ হাজারের বেশি মানুষ সে সময় নির্যাতন এবং অবৈধ আটকাদেশের শিকার হয়েছে।

আন্তর্জাতিক