শিক্ষকরা নিজ স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করেন: শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষকরা নিজ স্বার্থে ছাত্রদের ব্যবহার করেন: শিক্ষামন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকরা বিভিন্ন শিবিরে বিভক্ত হয়ে অনেক সময় নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ছাত্রদের ব্যবহার করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।

রোববার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে তারানা হালিমের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বেশকিছু কারণে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘিœত হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হলো- সময়মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়া, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন বন্ধ হয়ে যাওয়া, সিট দখল ও টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে মারামারি, প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদের মধ্যে সংঘর্ষ, ইভটিজিং, প্রশাসনিক দুর্বলতা, গ্রুপিং বা অন্তর্দ¦ন্দ্ব।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “এছাড়া বিভিন্ন শিবিরে বিভক্ত শিক্ষকরাও অনেক সময় নিজেদের স্বার্থে এ সকল ছাত্রদের তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ব্যবহার করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে সহযোগিতা করে থাকে।”

আহমেদ নাজমীন সুলতানার প্রশ্নের জবাবে নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে ৩৭৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম মোবাইল ফোন প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে।

নাছিমুল আলম চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “যেসব শিক্ষক ক্লাসে না পড়িয়ে কোচিং বাণিজ্যে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের তালিকা করা হচ্ছে। এরকম বেশকিছু শিক্ষককে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে। বাকিদের সতর্ক করা হয়েছে।”

মন্ত্রী বলেন, “কোচিং ব্যবসা যে বন্ধ হবে, তা বলা যাবে না। কারণ এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। কারণ তারা যদি তাদের ছেলে-মেয়েদের বেশি ভালো ফলাফলের নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষদের পেছনে ছোটেন তাহলে কড়াকড়ি করেও কোচিং ব্যবসা বন্ধ করা যাবে না।”

রেহানা আক্তার রানুর প্রশ্নের জবাবে নাহিদ বলেন, “২০১১-১২ অর্থবছরের বাজেটে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১ হাজার ৬৫৯ কোটি ১৬ লাখ ৪৯ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো।”

এদিকে নাজিম উদ্দিন আহমেদের প্রশ্নের জবাবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী আফসারুল আমিন বলেছেন, “২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৬ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ হাজার ৬৬৪টি স্কুল পুন:নির্মাণ এবং ২৬ হাজার ১৩৭টি স্কুলের কক্ষ সম্প্রসারণ করা হয়েছে।”

সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে আফসারুল আমিন বলেন, “সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৬৭২ ও রেজিস্ট্রার্ড বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২২ হাজার ৯৭৬টি।”

বাংলাদেশ