জাতীয় আর্কাইভ ভবন (দ্বিতীয় পর্যায়) উদ্বোধন করতে গিয়ে থমকে গেলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ।
রোববার সকালে আগারগাঁওয়ে ভবনটির উদ্বোধন করতে গিয়ে দেখতে পান ২০০১ সালে ভবনটির ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই তথ্যমন্ত্রী চান তিনিই (প্রধানমন্ত্রী) ভবনটি উদ্বোধন করুক। তবে কর্তৃপক্ষের অনুরোধে সকাল সোয়া ১০টায় তিনি ভবনটি উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এই ভবন উদ্বোধন করতে পেরে আনন্দিত। ডিজিটালাইজড হওয়ার পরে আর্কাইভের সুফল আরো ভালভাবে পাওয়া যাবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- ইতিহাস ভুল হওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না।
ভবিষত প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানাতে পারলে তারা সুনাগরিক হতে পারবে এবং সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব হবে। জাতীয় আর্কাইভকে পর্যায়ক্রমে আরো সমৃদ্ধ করা হবে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট প্রমোদ মানকিন বলেন, একটি জাতি কতটা সমৃদ্ধ তা জানা যায় তাদের আর্কাইভস দেখে। আমাদের অতীত এবং সমৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে হলে আর্কাইভস জানতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে আর্কাইভ ও গ্রস্থাগার অধিদপ্তরের পরিচালক অাবদুল বারী চৌধুরী বলেন, নতুন এই ভবনে ব্যক্তিগত চিঠিপত্র, দলীল এবং বিভিন্ন ধরণের নথিপত্র সংরক্ষণের সুযোগ রয়েছে।
সরকারিভাবে ২৫ বছরের পুরাতন নথিপত্র জাতীয় আর্কাইভসে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে জাতীয় আর্কাইভ মানুষের দোড় গোড়ায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে।
পরে মন্ত্রী প্রদর্শনী কক্ষ পরিদর্শন করেন।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন অধিদফতরের উপ-পরিচালক সামলা ইসলাম। এ সময় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা, পণ্ডিত ও গবেষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।