বিদ্যমান আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দেওয়া সংবিধানিক ক্ষমতা দিয়েই যে কোনো পরিস্থিতিতে অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার মো. শাহনেওয়াজ।
রোববার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শাহনেওয়াজ বলেন, “বিগত কমিশনও এই ক্ষমতা দিয়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করেছে। আশা করি আমরাও পারব। তবে সরকার মনে করলে কমিশনকে আরো শক্তিশালী করতে পারে। এখনো সে সুযোগ আছে।“
এ নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, “জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে কমিশন। এ জন্য একটি ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ তৈরি করা হয়েছে। সেই কর্ম পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচনের আগে সকল কাজ সম্পন্ন করা হবে।“
সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এ বছরই সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করা হবে। সর্বশেষ আদমশুমারির চূড়ান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই একাজ শুরু করবে ইসি।“
তবে এক্ষেত্রে গত কমিশন সরকারকে যে সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছিল তার কোনো প্রয়োজন নেই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিগত কমিশন ঢাকা মহানগরীর সংসদীয় আসন সংখ্যা ১০টি নির্দিষ্ট করে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত আইন ও বিধিমালা প্রণয়নে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু বর্তমান কমিশন মনে করছে, সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশেই পর্যাপ্ত ক্ষমতা দেওয়া আছে।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা সম্পর্কে তিনি বলেন, “কমিশন শিডিউল অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই তালিকা হালনাগাদ করার কাজ শেষ হবে।“
তিনি জানান, এরই মধ্যে ভোটার হালনাগাদের প্রথম পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
দুই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ওপর আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করতে বিলম্ব হচ্ছে কেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে শাহ নেওয়াজ বলেন, “এজন্য দু’জন আইনজীবী নিয়োগ করা হয়েছে। তারা প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হয়ত একটু দেরি করছে। তবে আর বেশি সময় ক্ষেপণ হবে না।‘
খুব শিগগিরই উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলেও জানান তিনি।