বিএনপির মহাসমাবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ

বিএনপির মহাসমাবেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আওয়ামী লীগ

সোমবার (১১ জুন) প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মহাসমাবেশকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

তবে সরকার ও  আওয়ামী লীগ এই সমাবেশকে সতর্ক পর্যবেক্ষণে রেখেছে। সমাবেশের দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা-বাহিনীর পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

নেতা-কর্মীরা থানা, ওয়ার্ড, পড়া-মহল্লায় অবস্থান নিয়ে সতর্ক থাকবেন। দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ থানা ওয়ার্ড কার্যালয়গুলোতেও নেতা-কর্মীরা অবস্থান করবেন। আওয়ামী লীগের উচ্চ পর্যায় থেকে এ নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।

গত ১২ মার্চ ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গন সেভাবে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সোমবারের মহাসমাবেশে সে ধরণের উত্তেজনার আশঙ্কা নেই।

ওই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধী দল মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়।

তাছাড়া সোমবারের সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির দিক থেকেও তেমন কোনো তোড়জোড় লক্ষ্য করা যায়নি।

এ কারণে আওয়ামী লীগও এই মাহাসমাবেশকে তেমন একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।

আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করা হলে তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে।

তারা জানান, গত তিন বছর ধরে বিএনপি অনেক আন্দোলনের কথা বলে আসছে, হুমকী ধামকি দিচ্ছে।

তবে যে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিরোধী দল যাতে রাজনীতির মাঠ দখল করতে না পারে সে জন্য বিরোধী দলের যে কোনো কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কমীদেরকেও সতর্ক থাকার ব্যাপারে আগে থেকেই নির্দেশ দেয়া আছে।

বিএনপির গত ১২ মার্চের কর্মসূচির আগে ও পরে আওয়ামী লীগ এবং এর নেতৃত্বাধীন ১৪ দল প্রায় মাসব্যাপী কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিলো।

রাজনীতির মাঠ যাতে বিরোধী দলের দখলে চলে না যায় সে জন্য এ ধরনের কৌশল নেয়া হয় বলে আওয়ামী লীগ নেতারা জানান।

এই কৌশলের অংশ হিসেবে সোমবারেও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সংগঠনের ইতোমধ্যে এ ধরনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ হয়েছে বলে জানা গেছে।

এসব সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী সতর্ক অবস্থায় মাঠে থাকবেন বলে সংগঠনগুলোর দায়িত্বশীল নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

এ দিকে বিএনপির সোমবারের মহাসমাবেশের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি মাহবুব-উল-আলম হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, বিরোধী দলের এই মহাসমাবেশ নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।

গত তিন বছরে আমরা বিরোধী দলের অনেক হুমকী-ধামকি দেখেছি। এটা নিয়ে আমরা মাথা ঘামাচ্ছি না। আমরা সরকারের বাকী দেড় বছরে কিভাবে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়ন করা যায় সেদিকে মনোনিবেশ করেছি।

মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি হলে সেটা প্রশাসন দেখবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী ব্যবস্থা নেবে। রাজনৈতিক দায়িত্বের জায়গা থেকে দলের নেতা-কর্মীদের তো সব সময়ই সতর্ক থাকতে হয়। সেভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ  আছে।

এ বিষয়ে দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক কর্মসূচিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।

তবে মহাসমাবেশের নামে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করলে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আর বিরোধী দলের অপরাজনীতিকে আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করবো।

রাজনীতি