মায়ানমারের প্রধান সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে এবি ব্যাংকের চুক্তি হচ্ছে

মায়ানমারের প্রধান সরকারি ব্যাংকের সঙ্গে এবি ব্যাংকের চুক্তি হচ্ছে

মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমান্ত বাণিজ্যে ব্যাংকিং সুবিধা নিশ্চিত করতে মায়ানমার ইকোনমিক ব্যাংকের (এমইবি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংক লি:। মায়ানমারের নবনির্মিত রাজধানী শহর নিপিটোতে এমইবি’র প্রধান কার্যালয়ে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্যান থাউং এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন দেশটিতে সফররত এবি ব্যাংক প্রতিনিধি দল।

এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুল হকের নেতৃত্বে নয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে এমইবি’র এমডি স্যান থাউং বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে মায়ানমারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দিন দিন বাড়ছে। এ অবস্থায় এমন একটি উদ্যোগ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ।

আলোচনা কালে এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, সীমান্ত বাণিজ্য দুটি ভ্রাতৃপ্রতীম প্রতিবেশী দেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু সাধারণভাবে আমদানি ও রপ্তানিকারকরা কেবল কিছু ব্যাংকিং সুবিধা পেতে দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও ধকলের মধ্যে পড়েন। তাদের জন্য দ্রুত ও সহজ ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে এবি ব্যাংক ও এমইবি’র মধ্যে চুক্তি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

মায়ানমার সরকারের অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের আওতায় সরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা এমইবি দেশটির অন্যতম প্রধান একটি ব্যাংক। স্যান থাউং জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে নতুন সরকারও যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। এ অবস্থায় দুটি দেশের মধ্যে এ ধরনের উদ্যোগকে সরকারও সাধুবাদ জানাবে।

বাংলাদেশ সরকারেরও একই মনোভাব রয়েছে বলে জানান, মো. ওয়াহিদুল হক।

এবি ব্যাংক প্রতিনিধি দলে ছিলেন ব্যাংকটির পরিচালক ব্যাংকের পরিচালক এম. এ. আওয়াল, ফিরোজ আহমেদ, ফাহিমুল হক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুর রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এন আজিম, ইয়াঙ্গুন অফিসের প্রধান মো. মাহমুদুর রহমান বকুল, কর্মকর্তা তানভীর শামস ও শামীমা সিদ্দিকী।

এমইবি ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে ছিলেন এর তিনজন জেনারেল ম্যানেজার লা মিন্ঁ অং, থান লুইস উ এবং মিন্ ঁউ।

আলোচনাকালে ভারতের সঙ্গেও মায়ানমারের বাণিজ্যে লেনদেনের সুবিধার্থে এবি ব্যাংকের মুম্বাই ব্রাঞ্চে এমইবি’র এসিইউ (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে সুযোগ বৃদ্ধির অনুরোধ জানান এবি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. ওয়াহিদুল হক।

এসময় এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম ফজলুর রহমান বলেন, সীমান্ত বাণিজ্যে সহযোগিতা দিতে এবি ব্যাংকের রয়েছে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। তিনি আশা প্রকাশ করেন এমইবি’র সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি ও কাজের সম্পর্ক হবে এক্ষেত্রে এগিয়ে যাওয়ার নতুন একটি পদক্ষেপ।

আলোচনা শেষে বিনিময় সফর হিসেবে এমইবি’র একটি প্রতিনিধি দলকে এবি ব্যাংকের অতিথি হয়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান ওয়াহিদুল হক। আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেন স্যান থাউং।

এ সময় দুইপক্ষ তাদের ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী বিনিময় করেন।

অর্থ বাণিজ্য