পাক-আফগান সীমান্তের উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধকে যুক্তরাষ্ট্রের একান্ত নিজের যুদ্ধ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিও প্যানেট্টা।
এর কয়েক দিন আগে বেসামরিক মানুষ নিহত হওয়ার অভিযোগ এবং পাকিস্তানের আপত্তি সত্ত্বেও সীমান্তে ড্রোন হামলা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়ে বক্তব্য দেন প্যানেট্টা। এশিয়া সফরের শেষ ধাপে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে আফগান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের স্বর্গভূমি পাকিস্তানের ব্যাপারে ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া পাকিস্তানের চির শত্রু ভারত সফর করলেও এশিয়া সফরে ইসলামাবাদ উপেক্ষা করে গেছেন প্যানেট্টা। এর প্রেক্ষিতে পাক-মার্কিন সম্পর্কের বর্তমান গতিপ্রকৃতি স্বাভাবিক নয় বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এ বক্তব্যের দু’দিন পরেই গত শনিবার পাকিস্তানি সংবাদপত্র ডনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্যানেট্টা পাক-আফগান সীমান্তে সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধকে যুক্তরাষ্ট্রের নিজের যুদ্ধ বলে অভিহিত করলেন। এসময় মার্কিন সেনাদের নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য সব উপায় অবলম্বন করার কথা বলেছেন তিনি। তবে সেই উপায় সম্পর্কে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
তিনি বলেন, ‘হাক্কানি নেটওয়ার্কের ব্যাপারে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানের ওপর চাপ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।’
পাক-আফগান সীমান্তে জঙ্গিদের অবৈধভাবে পারাপারের বিষয়ে সতর্কবার্তা দিয়ে প্যানেট্টা বলেন, ‘এর ফলে সৃষ্ট সংঘর্ষের কারণে মার্কিন সেনার অনাকাঙ্খিত মৃত্যু কোনভাবেই বরদাশত করা হবে না।’
এদিকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র প্যানেট্টার এসব মন্তব্য খারিজ করে দিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জটিল কিছু বিষয়কে হাল্কা করে দেখার চেষ্টা করছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত পাকিস্তানের মধ্য দিয়ে ন্যাটোর সরবরাহ পথ খুলে দেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন বিমান হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনায় আফগানিস্তানে ন্যাটোর সরবরাহ পথ বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। এ ঘটনায় ক্ষমা চাইতে হবে পাকিস্তানের এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র।