বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা ‘হু’ চীনে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে। গতকাল (বৃহস্পতিবার) হু’র শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের এক বৈঠকের পর সংস্থাটির পক্ষ থেকে এই ঘোষণা প্রকাশ করা হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডা. টেড্রোস অ্যাডানম গ্যাব্রিয়েসুস বলেছেন, ‘এই ঘোষণার মূল কারণ চীনে যা হচ্ছে তা নিয়ে নয়, বরং অন্যান্য দেশেও করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তার জন্য।’ উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, যেসব দেশের স্বাস্থ্য সেবা ততটা উন্নত নয় সেসব দেশে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জন। এছাড়া ৯,৩৫৬ ব্যক্তি আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চীনের প্রতিটি অঞ্চলে এখন ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।
‘হু’ জানিয়েছে, চীনের বাইরে ১৮টি দেশে করোনা ভাইরাসে ৯৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে জার্মানি, জাপান, ভিয়েতনাম এবং আমেরিকায় মানুষে-মানুষে সংস্পর্শের মাধ্যমে ৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ডা. টেড্রোস এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে চীনের নেওয়া ব্যবস্থাকে ‘অসাধারণ’ বলে প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক দিনে মানুষে-মানুষে সংস্পর্শের মাধ্যমে এই ভাইরাস যেভাবে কয়েকটি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তা উদ্বেগের ব্যাপার।’
গত মাসে চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। চীন ছাড়াও থাইল্যান্ড, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়াসহ ১৮ দেশে করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি, কাশির মত সমস্যা দেখা দেয়।