মিয়ানমারের মংডু শহরে রাখাইন বৌদ্ধ ও রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে সংর্ঘষের পর বাংলাদেশের ৫৫ ব্যবসায়ী সেখানে আটকা পড়েছেন। তবে তারা নাসাকা বাহিনীর হতে আটক হয়েছেন কি না তা জানা যায়নি।
মিয়ানমারের মংডুতে মুসলিম, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী রাখাইন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে দাঙ্গা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। এ অবস্থায় ব্যবসায়িক কাজে সেখানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা আটকা পড়েছেন।
মিয়ানমার থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, শুক্রবার ও শনিবার সংঘটিত ঘটনার পর থেকে মিয়ানমারের মংডু শহরে কারফিউ বলবৎ রয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন তাদের বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। এছাড়া বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ট্রানজিট বন্ধ রাখা হয়েছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আব্দুল কাদের সিদ্দিকী জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ৫৫ ব্যবসায়ী মিয়ানমারে আটকা পড়েছেন।
এদিকে, মিয়ানমারের কয়েকজন ব্যবসায়ীও বাংলাদেশে রয়েছেন যারা একই কারণে ফিরতে পারছেন না নিজ দেশে।
বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা আব্দুল কাদের আরও জানান, নাসাকা বাহিনী নৌপথ অবরোধ করে রাখায় কোনো নৌযান চলাচল করতে পারছে না। তবে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দ্রুত ও নিরাপদে দেশে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের নাসাকা বাহিনী আটকে রেখেছে কিনা জানতে চাইলে টেকনাফ ইমিগ্রেশনের ওই কর্মকর্তা বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে আপাতত তারা দেশে ফিরতে পারছেন না, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।”
এদিকে, বর্তমানে টেকনানাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জাহিদ হাসান জানান, মিয়ানমারে সৃষ্ট সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পর থেকে টেকনাফ সীমান্তে বিজিবির নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং টহল জোরদার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আ ন ম নাজিম উদ্দিন বলেন, “মিয়ানমারে আটকে পড়া বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ফেরত আনার জন্য মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করা হচ্ছে।”