সংবিধান অনুযায়ী সংলাপের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

সংবিধান অনুযায়ী সংলাপের কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, আলোচনা হবে তবে তা হতে হবে সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর উপর ভিত্তি করে।

শুক্রবার রাতে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সভায় প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। সভা শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান।

এ সময় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘আলোচনা হবে এবং আগামী নির্বাচনে সব দল অংশগ্রহণ করবে। একই সঙ্গে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনা যে হচ্ছে না তা নয়, আলোচনা হচ্ছে আরও হবে। তবে সংলাপ যে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে হতে হবে সেটা না।’

আগামী ১০ জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিরোধী দলের আলটিমেটাম শেষ হচ্ছে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ আশরাফুল বলেন, ‘এটা রাজনৈতিক আলটিমেটাম। এ ধরনের আলটিমেটামের অভিজ্ঞতা আমাদের আছে।’

পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলন সংগ্রাম গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে হরতালের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা জনগণ মেনে নেবে না।’

আশরাফ জানান, ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায় যেসব কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে তা অবহিত করা হয়েছে। আগামীতেও যেসব কাউন্সিল হবে তা জানানো হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা তৃণমূল পর্যায়ের কাউন্সিল শেষ করে যথাসময়ে জাতীয় কাউন্সিল করব।’

বাজেট নিয়ে বিভিন্ন মহলের সমালোচনার জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেটের পর গত ৫০ বছর ধরেই ‘উচ্চভিলাষী’, ‘গণবিরোধী’ এসব কতগুলো সাজানো কথা শুনে আসছি। বাংলাদেশের মতো দেশে কখনো বাজেট শতভাগ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। উন্নত বিশ্বের দেশগুলোও ৮০/৮৫ ভাগের বেশি বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারে না। সরকার আন্তরিক থাকলে ৯০ থেকে ৯৫ ভাগ বাজেট বাস্তবায়ন করা সম্ভব। গত অর্থ বছরে আমরা ৯৩ ভাগ বাস্তবায়ন করেছি।’

আশরাফ সাম্প্রতিক চীন সফরের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, চীন বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা ইপিজেড’র আদলে এখানে শিল্প গড়ে তুলতে চায়, যাতে বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব থাকবে। সফরে বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ নিয়েও কথা হয়েছে। গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণ জরুরি।

তিনি আরও বলেন, চীনে যে বাণিজ্য মেলা হয়েছে সেখানে ১৩৩টি বাংলাদেশি স্টল ছিলো। চীনা বাজারে বাংলাদেশের আম, শুটকি মাছসহ বেশ কিছু পণ্য রয়েছে। এশিয়ান হাইওয়ে হলে পণ্য রপ্তানি আরো বৃদ্ধি পাবে।

বিরোধী দলের বিকল্প বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের কিছু বলার থাকলে তা সংসদে এসে বলতে পারে। প্রস্তাবিত বাজেটে মোবাইলের ওপর আরোপিত দুই শতাংশ উৎস কর নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বাংলাদেশ