শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেছেন, দেশের সম্পদ সীমাবদ্ধ হলেও মেধাসম্পদ সীমাবদ্ধ নয়। জ্ঞানভিত্তিক শিল্পায়নের জন্য এ মেধাসম্পদের দক্ষ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। শিল্পোন্নত দেশগুলো ইতিমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের মেধাসম্পদকে কাজে লাগিয়ে শিল্প, বিজ্ঞান, তথ্য-প্রযুক্তি ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে সমৃদ্ধি অর্জনের কৌশল হাতে নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবনী ও সৃজনশীল মেধাসম্পদের উন্নয়ন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদফতর (ডিপিডিটি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ বি এম খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিপিডিটি’র উপ-রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ হাবিবুল কবির চৌধুরী। এতে শিল্পসচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী, ডিপিডিটি’র রেজিস্ট্রার মো. খলিলুর রহমান সিদ্দিকী, উপ-রেজিস্ট্রার এ এফ এম মাহবুবুল আহসানসহ দেশিয় মেধাসম্পদ বিশেষজ্ঞ, গবেষক ও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানভিত্তিক ও সবুজ শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনের জন্য তৃতীয় শিল্প বিপ্লবের যাত্রা শুরু হয়েছে। মেধাসম্পদের উন্নয়ন ও সংরক্ষণে উন্নত দেশের উদ্যোগ তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর জন্য অনুকরণীয়। দেশের মেধাসম্পদ সুরক্ষায় গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর না হলেও বাংলাদেশ মেধাসম্পদের দিক থেকে এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে। মেধাসম্পদ ও সৃজনশীল কর্মের উপযুক্ত মূল্যায়ন না হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেশিয় মেধাসম্পদ বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। মেধাসম্পদের নকল ও পাচার রোধে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালার আধুনিকায়ণ করতে হবে।
বক্তারা বলেন, অন্যের মেধাসম্পদের প্রতি শ্রদ্ধা না দেখালে দেশে মেধাসম্পদ সৃষ্টি হবে না। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও তথ্য-প্রযুক্তিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীল ক্ষমতাকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে। দেশের মেধাসম্পদ শিল্পোন্নয়নে কাজে লাগাতে এর সুরক্ষা ও কদর করা প্রয়োজন।
দিনব্যাপী এ সেমিনারে সরকারি উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, মেধাসম্পদ বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ও গবেষক এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নিচ্ছেন।