প্রস্তাবিত ‘বাজেট বিশাল নয়’ বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাজেট পেশ পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটা কোনো বিশাল বাজেট নয়। বাজেটের আকার মাত্র জিডিপি’র ১৮ দশমিক ২ শতাংশ। এটা সবার মাথায় ঢুকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে বাজেট ঘাটতি ও মূল্যস্ফীতি নিয়ে অকারণ হৈ চৈ করা হয়। বাজেট ঘাটতির হার মাত্র জিডিপি’র ৫ শতাংশ। বাংলাদেশে বাজেট ঘাটতি ১৯৭৫ সাল থেকে চলে আসছে। মাঝে দু’য়েকবার ব্যতিক্রম ছাড়া। গত কয়েক বছর ধরেই বাজেট ঘাটতির হার ৪ দশমিক ৪ শতাংশের মধ্যে সীমিত ছিল। শুধু এবারই তা ৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।’
প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও আগামী বাজেটে তা সাড়ে ৪ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মূল্যস্ফীতির সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি নিয়ে অপ্রত্যাশিত হৈ চৈ মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার একটি অন্যতম কারণ।’
কালো টাকা প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এটাকে কালো টাকা বলি না। এটা হচ্ছে অ-প্রদর্শিত আয়। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির ৪২ থেকে ৮২ শতাংশ হচ্ছে কালো টাকা।’
‘এ টাকা বিনিয়োগের মধ্যে নিয়ে আসতেই হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিনিয়োগ বাড়ানো ও দেশ থেকে অর্থ পাচার রোধে জরিমানার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।’
বাজেট বাস্তবায়নে সমস্যার কথা স্বীকার করে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সব সময়েই বলেছি বাজেট বাস্তবায়নে আমাদের সমস্যা রয়েছে। তবে গত তিন বছরে বাজেট বাস্তবায়ন ক্ষমতা অসাধারণভাবে বেড়েছে। ১৯ হাজার কোটি টাকা থেকে বাস্তবায়ন ক্ষমতা ৪০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।’
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না থাকলে বাজেট বাস্তবায়ন কিভাবে হবে জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হচ্ছে। এখন অত বেশি বা অযথা হরতাল দেওয়া হয় না। আরো অনেক বিকল্প কর্মসূচি আছে। তাছাড়া অর্থনীতির সক্ষমতাও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে।