চীনের মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য পূর্বের ধারণার দ্বিগুণেরও বেশি। রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া গত মঙ্গলবার জানায়, সরকারি হিসাবে বলা হয়েছে চীনের মহাপ্রাচীরের প্রকৃত দৈর্ঘ্য পুর্বের ধারণার চেয়ে ১২ হাজার ৩শ’ ৪৬ কিলোমিটার বেশি।
২০০৯ সালে প্রকাশিত এক তথ্যে এর দৈর্ঘ্য বলা হয় ৮ হাজার ৮শ’ ৫০ কিলোমিটার। কিন্তু নতুন রিপোর্টে বলা হচ্ছে এর প্রকৃত দৈর্ঘ্য ২১ হাজার ১শ’ ৯৬ কিলোমিটার।
বার্তাসংস্থাটি জানায়, রাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য প্রশাসন ২০০৭ সালের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপের ভিত্তিতে এ হালনাগাদ তথ্যটি দেওয়া হয়েছে। এর আগে শুধু ঐতিহাসিক প্রমাণের ওপর নির্ভর করে প্রাচীরের দৈর্ঘ্য সর্ম্পকে ধারণা দেওয়া হয়েছিল।
বিশ্বের ইতিহাসে চীনের মহাপ্রাচীরই মনুষ্য নির্মিত সবচে দীর্ঘ স্থাপনা। বর্বর মঙ্গলদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে তৎকালীন রাজা এ প্রাচীর নির্মাণ করেন।
এ মহাপ্রাচীর চীনাদের কাছে ‘লং ওয়াল অব ১০,০০০ লি’ নামে পরিচিত। মূলত ৭ম খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথম দিকে বিচ্ছিন্নভাবে অনেকগুলো প্রাচীর নির্মাণ করা হয়। পরে সবগুলো প্রাচীর যুক্ত করে মহাপ্রাচীরে রূপ দেওয়া হয়। বিশেষ করে ২২০ থেকে ২০৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে এ বিখ্যাত সীমান্ত প্রাচীর নির্মাণ করেন চীনের প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং।
এরপর প্রাচীরটি একাধিকবার মেরামত করা হয়েছে এবং কখনো বর্ধিতও করা হয়েছে। বর্তমান যতোটুকু টিকে আছে তার বেশিরভাগ নির্মাণ করে চীনের মিং রাজবংশ।
সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে মূল প্রাচীরের মাত্র ৮ দশমিক ২ শতাংশ টিকে আছে।
ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে চীনের মহাপ্রাচীর তালিকাভুক্ত হয় ১৯৮৭ সালে।