চাঁদা দাবির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বনানী রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে জামিন দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত তাকে জামিন দেন।
শ্বশুর আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের করা মামলায় বুধবার আত্মসমর্পণ করেন পিয়াসা। একই সঙ্গে জামিনের আবেদন করেন। মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন।
আদালতে পিয়াসার পক্ষে অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ও সানাউল ইসলাম টিপু শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আসামিকে হয়রানি করা হচ্ছে।
গত ৫ মার্চ ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন দিলদার আহমেদ। আদালত গুলশান থানা পুলিশকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব আলম গত ১ আগস্ট ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। আদালত ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে পিয়াসাকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন। বুধবার হাজির হওয়ার তারিখ ধার্য ছিল। পিয়াসা আদালতে হাজির হন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পিয়াসা ফাঁদে ফেলে সাফাত আহমেদকে ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারি বিয়ে করেন। পরে তিনি জানতে পারেন পিয়াসা মাদকাসক্ত এবং উশৃঙ্খল চলাফেরা ও জীবন-যাপনে অভ্যস্ত। পরে সাফাত আহমেদ ২০১৭ সালের ৮ মার্চ পিয়াসাকে তালাক দেন। সাফাত রেইনট্রি ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর গত বছরের ২৯ নভেম্বর জামিন পান। সাফাত জামিন পাওয়ার পর পিয়াসা বাড়িতে যান এবং পরিবারের লোকজনের সঙ্গে অশালীন আচরণ ও অনৈতিক কার্যকলাপ শুরু করেন। দিলদার আহমেদ পিয়াসা ও তার বন্ধুদের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। পিয়াসা তাতে অস্বীকৃতি জানান।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি পিয়াসাকে সাফাতের ছোট ভাই ও মায়ের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতে দেখে বাদী বাধা দেন। পরে পিয়াসা দিলদার আহমেদ ও তার পরিবারের লোকজনের প্রাণনাশের হুমকি দেন ও পাঁচ কোটি টাকা চাদা দাবি করেন।
উল্লেখ্য, পিয়াসাকে মারধর করার অভিযোগে দিলদার আহমেদের বিরুদ্ধে একটি মামলা চলমান আছে।