মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের সেনাপ্রধানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

মিয়ানমারের সেনাপ্রধানসহ শীর্ষ চার সামরিক কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। রোহিঙ্গাসহ অন্য সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নের প্রেক্ষিতে এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট মঙ্গলবার তাদেরকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আওতায় মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ছাড়া বাকি কর্মকর্তারা হলেন- কমান্ডার-ইন-চিফ অব দ্য বার্মিজ মিলিটারি ফোর্সেস সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লাইং, সেনাবাহিনীর উপ প্রধান ভাইস সিনিয়র জেনারেল সোয়ে উইন, ৯৯ লাইট ইনফানট্রি ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও এবং ৩৩ লাইট ইনফানট্রি ডিভিশনের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ওয়াশিংটন এখন পর্যন্ত যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে তার মধ্যে এবার সবচেয়ে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলো। এর ফলে মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ থাকলে তা জব্দ করা হবে। তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের ব্যবসায়ী কার্যক্রম চালাতে পারবেন না আমেরিকার নাগরিকরা।

গত জুলাইয়েও মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সে সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং নিপীড়নের জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি করতে কোনো উদ্যোগই বার্মা সরকার নেয়নি, এতে আমরা উদ্বিগ্ন। তাছাড়া বার্মার সেনাবাহিনী সারাদেশেই নিপীড়ন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন চালিয়ে যাচ্ছে বলে আমাদের কাছে খবর আসছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক বিশ্লেষক ও কূটনীতিকের মতে আগামী বছর মিয়ানমারের সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হতে পারেন সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং। নোবেলজয়ী অং সান সুচির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি সেনাবাহিনীর সমর্থনপুষ্ট জাতীয়তাবাদীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা মিয়ানমার সেনাপ্রধানের রাজনৈতিক আকাঙ্ক্ষা চরিতার্থের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে বলে মনে করছে রয়টার্স।

আন্তর্জাতিক শীর্ষ খবর