আদেশের পর রিটের পক্ষের আইনজীবী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সহধর্মিণীর নাম আয়েশা (রা.)। সিনেমায় এই নাম ব্যবহারের মধ্যদিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে’
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে ‘সার্ফিং’ নিয়ে দেশের প্রথম চলচ্চিত্র ন’ডরাই এর সেন্সর বাতিল ও প্রদর্শনী বন্ধে একটি আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়, এই চলচ্চিত্রে এমন কিছুর বর্ণনা করা হয়েছে যা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সৃষ্টি করে।
ন’ ডরাই সিনেমার সেন্সর সার্টিফিকেট বাতিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এই রুল জারি করেন।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত সার্ফিং নিয়ে দেশের প্রথম চলচ্চিত্র “ন’ ডরাই”। ছবিটির মূল চরিত্রের নাম আয়শা। যিনি শত প্রতিকূলতা অতিক্রম করে সার্ফিং করেন। এতে আয়শা চরিত্রে অভিনয় করেন সুনেরাহ্ বিনতে কামাল। মূলত এই নামটি নিয়েই আপত্তি তোলেন আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম।
একইসঙ্গে ন’ ডরাই-অ্যাডভেঞ্চার অব আয়েশা; নামের কমিকবুক ও অ্যানিমেটেড ভিডিও বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে (বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান ও তথ্যসচিব, আইন সচিব, সিনেমাটির প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমানসহ পাঁচ বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের পর জুলহাস উদ্দীন আহমাদ সাংবাদিকদের বলেন, ন’ ডরাই সিনেমার মূল চরিত্রের নাম আয়েশা। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর সহধর্মিণীর নাম আয়েশা (রা.)। সিনেমায় এই নাম ব্যবহারের মধ্যদিয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা হয়েছে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এই সিনেমা দেখা যাবে না বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এই যুক্তিতে রিটটি করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুজ্জাতুল ইসলাম খান ওই সিনেমাটির সেন্সর সার্টিফিকেট বাতিলের নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জুলহাস উদ্দীন আহমাদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
প্রসঙ্গত, ন’ ডরাই একটি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র যাতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুনেরাহ বিনতে কামাল ও শরিফুল রাজ। চিত্রনাট্য লিখেছেন শ্যামল সেনগুপ্ত, প্রযোজনা করেছেন মাহবুব রহমান ও পরিচালনায় তানিম রহমান অংশু। সার্ফিং নিয়ে নির্মিত প্রথম বাংলাদেশি চলচ্চিত্রটি ২৫ নভেম্বর সেন্সর বোর্ডের অনুমতি পাওয়ার পর ২৯ নভেম্বর মুক্তি পায়।