ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও অনৈতিকতার অভিযোগ এনে ‘ন ডরাই’ নামের চলচ্চিত্রের সেন্সর সনদ কেন বাতিল এবং প্রদর্শনী কেন বন্ধ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এবিষয়ে বাজারে থাকা কমিক বই এবং ভিডিও প্রত্যাহারের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ রুল জারি করেন। তথ্য ও আইন সচিব এবং সিনেমাটির প্রযোজক মাহবুব রহমান, পরিচালক তানিম রহমান ও সংলাপ লেখক শ্যামল সেন গুপ্তকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী মো. হুজ্জাতুল ইসলাম খানের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়। রিট আবেদনকারীপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট জুলহাস উদ্দিন আহমাদ ও মো. গিয়াস উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
এর আগে সংশ্লিষ্টদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিনেমাটির প্রদর্শনী বন্ধ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত ৪ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইনি নোটিশ পাঠান ওই আইনজীবী। নোটিশের জবাব না পেয়ে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনে হযরত আয়শাকে (রা.) অপমান করায় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়।
আইনে নোটিশে বলা হয়, সিনেমাটির প্রধান চরিত্রের সঙ্গে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর স্ত্রী হযরত আয়শা (রা.)-র মিল রাখা হয়েছে। হযরত আয়শা (রা.) ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের কাছে পবিত্র ও সম্মানীয়। তাকে নিয়ে কোরআনে বলা হয়েছে, তিনি বিশ্বাসীদের মা। সিনেমার মূল নায়িকার সঙ্গে হযরত আয়শার (রা.) নাম ব্যবহার করে অশ্লীল দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে যা মুসলমানদের ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাতের শামিল। শুধু তাই নয়, কমিক বই ও এনিমেটেড ভিডিও থেকে এ সিনেমাটি তৈরি করা খুবই আপত্তিকর। এই সিনেমার মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের চেষ্টা করা হয়েছে। যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৮ ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া চলচ্চিত্র সেন্সরবোর্ডও সিনেমাটি প্রদর্শনের অনুমতি দিয়ে আইন লঙ্গন করেছে।
উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর ‘ন ডরাই’ ছবির প্রিমিয়ার শো’-এর আয়োজন করে স্টার সিনেপ্লেক্স। এরপরদিন দেশের ৮টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।