সবারই খুব প্রিয় একটি পাখি পায়রাকে বলা হয় শান্তির প্রতীক। ডাক আবিষ্কারের আগের যুগে খবর-আদান প্রদানের বাহন হিসেবে কাজ করতো শান্তিপ্রিয় এ পাখি। সম্প্রতি পাকিস্তানি একটি পায়রার কাণ্ড নিয়ে সরব ভারতীয় গণমাধ্যম।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে উড়তে উড়তে পায়রা চলে এসেছে ভারতে। পায়ে বাঁধা একটুকরো কাগজ। তাতে ঊর্দু ভাষায় কিছু লেখা। পাঞ্জাবে পায়রাটিকে ধরার পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে বহু। কেউ বলছেন, এভাবেই কি শান্তি-সংহতির বার্তা পাঠাচ্ছে শত্রু দেশ? কিংবা কোনও গোপন সংকেত! নাকি ওপারের কোনও প্রেমিক বা প্রেমিকা মনের কথা লিখে পাঠিয়েছেন এদেশে বসবাসকারী তার আপনজনকে?
পাকিস্তানি পায়রার এ ‘বেইমানি’ এবং ভারত প্রীতি দেখে যদিও মাথায় হাত পাকিস্তানের। কারণ আগেও নাকি একাধিক বার অসংখ্য পায়রা নির্দিষ্ট স্থানে না পৌঁছে সটান চলে এসেছে ভারতে। তারপর তারা ভারত ছাড়তে নারাজ! এর জেরে লাখ লাখ টাকা নাকি হারিয়েছে সে দেশ।
এ বিষয়ে ‘এক্সপ্রেস নিউজ’-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওয়াঘা, ভানুচক, নরোদ, লবানওয়ালাসহ সীমান্তের একাধিক নিকটবর্তী অঞ্চলে এমন পায়রা পোষার শখ রয়েছে অনেকর। এ ধরনের বহুমূল্য পায়রার দাম কম করে এক লাখ টাকা। তাদের কোনও পায়রাই কি ভুল করে ঢুকে পড়েছে ভারতের আকাশে!
অনেক সময় এমনও হয়েছে, পায়রা ছাদ থেকে উড়ে, সীমান্ত পেরিয়ে চলে এসেছে ভারতে। অনেকে ফিরেও গেছে নিজের আশ্রয়ে। আর যাদের ভালো লেগে গেছে ভারতকে, তারা থেকে গেছে এদেশে।
এরকমই এক পায়রার মালিক রেহান জানান, ‘আমার কাছে কয়েকশ’ পায়রা আছে যারা বহু মূল্যবান। দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে ওরা এখন আমার সন্তানের মতো। তাই সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের আকাশে ঢুকে পড়ে সেখানে থেকে চলে গেলে ভীষণ কষ্ট হয়।’
আবার এর উল্টো ঘটনাও ঘটেছে। ভারতীয় পায়রা শত্রু দেশে ঢুকে পড়েছে বহুবার। কোনও পায়রার মালিকের ছাদে বসেছে। তারপর শত্রু দেশের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে ভুলেছে নিজের দেশ। অবশ্য পায়রাদেরই বা দোষ কী! আকাশ যে সীমাহীন।