মিসর ও তুরষ্ক থেকে আমদানি করা পাঁচ হাজার মেট্রিকটন পেঁয়াজ চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে খালাস হচ্ছে। খালাসের কাজ তদারকি করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, কাস্টম ও চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখার জন্য দেশের ছোট ও বড় আমদানিকারকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানিকারকরা এখন নতুন করে এলসি খুলে পেঁয়াজ আমদানি করছে। দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও মূল্য স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে।
জানা গেছে, পেঁয়াজের এই চালানটি আমদানি করেছেন সিটি ও মেঘনা গ্রুপসহ দেশের ছোট-বড় আমদানিকাররা।
এদিকে, টিসিবির পর এবার জেলা প্রশাসকদের মাধ্যমে সারা দেশে নায্য মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবির পাশাপাশি একেবারে উপজেলা পর্যায়ে পেঁয়াজ বিক্রি করার জন্য সব জেলা প্রশাসককে গতকাল রবিবার চিঠি দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
প্রাথমিকভাবে দেশের উত্তরাঞ্চলের দুই বিভাগ রংপুর ও রাজশাহীর সব জেলায় পেঁয়াজ বিক্রি করবে জেলা প্রশাসন। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জেলাতেই এ কার্যক্রম শুরু হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ’র (টিসিবি) মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির কার্যক্রম আরো বাড়ানো হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। শুরুতে ঢাকায় ৫০টি ট্রাকে করে এবং প্রতিটি বিভাগে ও বড় কয়েকটি জেলায় পেঁয়াজ বিক্রি করেছে টিসিবি। এখন ঢাকায় ট্রাক বাড়িয়ে ৭০টি করা হয়েছে। এ ছাড়া সব জেলায় বিক্রি শুরু করেছে সংস্থাটি।
পেঁয়াজের সরবরাহ বা চাহিদা অনুযায়ী টিসিবি সব জেলায় বিক্রি করছে বলে জানান সংস্থার মুখপাত্র হুমায়ুন কবীর।