সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড এটিএন বাংলা চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি

সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড এটিএন বাংলা চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি

`সাগর-রুনি পরকীয়ার বলি`- এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমানের এ মন্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। একইসঙ্গে সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যা মামলায় এটিএন বাংলার চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত সংস্থাগুলোর প্রতি দাবি জানিয়েছেন তারা।

সোমবার যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নেতারা এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতারা বলেন, হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে তদন্ত চলাকালীন এ ধরনের মন্তব্য শুধু অশালীন ও আপত্তিকরই নয়, আইনের বরখেলাপ। এটিএন বাংলার সাংবাদিক রুনি সম্পর্কে সেই চ্যানেলের মালিকের এ ধরনের উক্তি অমানবিক, অসৌজন্যমূলক ও মানহানিকর।

সাগর-রুনির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে তার কাছে ভিডিও ফুটেজ আছে বলে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান দাবি করেছেন। এ দাবির ভিত্তিতে সাংবাদিক নেতারা তদন্তকারী সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে মাহফুজুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দাবি জানান।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- বিএফইউজে সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী ও রুহুল আমিন গাজী, বিএফইউজে মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া ও ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব এম আবদুল্লাহ, ডিইউজে সভাপতি আবদুস শহিদ ও ওমর ফারুক, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ বাকের হোসাইন ও শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কামাল উদ্দিন সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু।

উল্লেখ্য, গত গত ৩০ মে পূর্ব লন্ডনের ব্লু মুন সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান রুনি সম্পর্কে অশালীন মন্তব্য করেন। “শুনেছি আপনি নাকি সাগর-রুনি হত্যার সঙ্গে জড়িত—এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি?“  লন্ডনের সাপ্তাহিক নতুন দিন পত্রিকার সাংবাদিক মো. কাওসারের এ প্রশ্নের জবাবে মাহফুজুর রহমান বলেছেন, “আমি যতটুকু মনে করি, সাগর-রুনি পরকীয়ার বলি হতে পারে। হত্যাকাণ্ডের পর তাদের ছোট্ট শিশু মেঘের দেওয়া একটি বক্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ আমার কাছে সিজ করা আছে। প্রয়োজনে আমি এটি প্রচার করব।“

রুনিকে `মদ্যপায়ী` উল্লেখ করে মাহফুজুর রহমান আরো বলেন, “আমি যেটুকু শুনেছি, রুনি তার বাসায় প্রায়ই মদের আড্ডা বসাত এবং সেখানে তার কাছের বন্ধুরা যেত। রুনি খুব চঞ্চল এবং প্রাণোচ্ছ্বল প্রকৃতির মেয়ে ছিল যে কারণে তার অনেক বন্ধুও ছিল। রুনির স্বামী সাংবাদিক সাগর জার্মানি থাকাকালে কোনো এক বন্ধুর সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে আমি শুনেছি। সে কারণে তাদের মধ্যে কিছুটা মনোমালিন্যও চলছিল।“

এটিএন বাংলার এ মন্তব্যে লন্ডনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ