দৃশ্য ১: ‘আমি জানি না তারা কি কাজ করেছিল। আমার ছেলে চলে গিয়েছে! অবশ্যই এটা ভুল হয়েছে। আমার ছেলে চলে গিয়েছে। আমি কথা বলার অবস্থায় নেই।’ আরিফের এনকাউন্টারে মৃত্যুর খবর পেয়ে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তার মা।
দৃশ্য ২: ‘স্যার, যদি আমার ছেলে অন্যায় করেছে বলে প্রমাণিত হয় তাহলে দয়া করে গুলি করুন।’এই প্রতিক্রিয়া ছিল দ্বিতীয় অভিযুক্ত শিবার মায়ের। তবে শিবার বাবা প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শুধুমাত্র এই ঘটনার অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে? বাকিদেরও একইভাবে শাস্তি দেওয়া উচিত। কেন তাদের ক্ষেত্রে সেটা হবে না?
দৃশ্য ৩: নবীনের বাবার আর্জি, এনকাউন্টারের আগে জেলে থাকা ছেলেদের সঙ্গে পরিবারকে দেখা করতে দেওয়া উচিত ছিল। ‘আমরা আগেই বলেছিলাম তাদের মেরে ফেলা উচিত জেলে রাখার পরিবর্তে। কিন্তু তাদের মেরে ফেলার আগে, আমাদের একবার সুযোগ দেওয়া উচিত ছিল দেখতে দেওয়ার।’
দৃশ্য ৪: ‘যদি আমার ছেলে অপরাধ করে থাকে, তাকেও পুড়িয়ে মারুন। আমার ছেলে এখানে বড় বিষয় নয়। অন্যায়টা অন্যায়।’ অভিযুক্ত চেন্নাকাসাভলুর মায়ের এই প্রতিক্রিয়া হলেও তার স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া কিন্তু ভিন্ন। স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘বিয়ের এক বছরের মধ্যে সে আমায় ছেড়ে চলে যায়। দয়া করে আমাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে চলুন যেখানে তাকে গুলি করে মারা হয়েছে। এবং আমাকেও গুলি করে মারা হোক। আমি ওকে ছাড়া বাঁচতে পারব না।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভারত তোলপাড় করা ধর্ষণের ঘটনায় এই চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করা হয়েছে শুক্রবার। পশু চিকিৎসক যুবতীকে হায়দরাবাদের টোল প্লাজার অদূরে রাতের অন্ধকারে একা পেয়ে গণধর্ষণ করে পুড়িয়ে মেরেছিল এই চারজন। যা নিয়ে গোটা ভারত উত্তাল হয়ে ওঠে। সংসদে তোলপাড় করা হয়েছিল ঘটনাটি নিয়ে। এবার এনকাউন্টারে চার অভিযুক্তকে খতম করা হয়েছে। এটা নিয়েও জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
সূত্র: আজকাল