‘বেগম জিয়ার জামিনের শুনানির আগেই যদি সর্বোচ্চ আদালত অবমাননার ঘটনা ঘটে, জামিন হলে তারা কতটা অরাজকতা করবে তা সহজেই অনুমেয়’ মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশে আইনের শাসন বজায় রাখার স্বার্থে সর্বোচ্চ আদালত অবমাননাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের জিইসি মোড়ে কে-স্কোয়ার মিলনায়তনে টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন অভ চট্টগ্রাম-এর যুগপূর্তি অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, গত বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর ২০১৯, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি এক সপ্তাহ পেছানোতেই বিএনপি’র আইনজীবীদের হট্টগোলের কারণে দেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি এবং মাননীয় বিচারপতিবৃন্দকে এজলাস ছাড়তে হয়েছে। নজীরবিহীন এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা শুধু নিন্দনীয়ই নয়, দেশের সামগ্রিক আইন-আদালতের প্রতি হুমকি ও সর্বোচ্চ আদালতকে অবজ্ঞা-অসম্মানের শামিল।
দেশে আইনের শাসন বজায় রাখার স্বার্থে এঘটনার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া আবশ্যক, বলেন তথ্যমন্ত্রী।
সেইসাথে শংকাপ্রকাশ করে ড. হাছান বলেন, বেগম জিয়ার জামিন হবে কি হবে না, সেবিষয়ে শুনানি পেছানোতেই যদি সর্বোচ্চ আদালত হট্টগোল হয়, জামিন হলে তারা জ্বালাও-পোড়াও করে কতটা অরাজকতা করবে, সেটি গভীর উদ্বেগের বিষয়।