পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ভারত বাংলাদেশের ভালো সম্পর্কের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেছেন, ‘জনগণ চায় প্রতিবেশী দেশটি এমন কিছু করবে না, যাতে আতঙ্ক তৈরি হয়।’
আজ শুক্রবার ঢাকায় মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশকে ভারতের স্বীকৃতি প্রদানের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাসের উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় ‘একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান ও বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, পরস্পর বন্ধুত্বের মাধ্যমে ভারত ও বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। দুই দেশের জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, এই সম্পর্ক ক্রমান্বয়ে নিবিড় থেকে নিবিড়তর হবে। সেই সাথে আমাদের দেশের জনগণের প্রত্যাশা যে, বন্ধুপ্রতীম ভারত এমন কিছু করবে না, যাতে উভয় দেশের জনগণের মধ্যে দুশ্চিন্তা বা আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘দুই দেশের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক বিশ্বাস, আস্থা ও বোঝাপড়া বর্তমানে অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে দৃঢ়তর। যার ফলশ্রুতিতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচিত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গত এক দশকে আমাদের দুই দেশের বন্ধুত্ব অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছে। যাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোনালী অধ্যায় হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন। আমাদের দুই দেশের সরকার প্রধানদের এই যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে এবং ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অনেক বেশি শক্ত ভীতে পরিণত করেছে।’
অনুষ্ঠানে ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী বলেন, ‘একাত্তরে ভারত বাংলাদেশের পাশে ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের মধ্যে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, সেটা চিরকালীন এবং সময়ের পরীক্ষায় সেটি সবসময় উত্তীর্ণ হবে।’
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ‘ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দেয়। আমাদের কাছে প্রতিবেশী প্রথম এবং প্রতিবেশীদের মধ্যে বাংলাদেশ সবার আগে।’