র্যাগিংয়ে জড়িত অভিযোগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) আরো ১৪ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আটজনকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক বহিষ্কারের পাশাপাশি হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্ত সবাই তিতুমীর হলের শিক্ষার্থী।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিককালে সংঘটিত র্যাগিংয়ের ঘটনায় জড়িতদের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এর আগে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ২১ নভেম্বর আবরার হত্যার অভিযোগপত্রভুক্ত ২৫ জনসহ ২৬ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে বুয়েট প্রশাসন। এরপর বিভিন্ন সময় র্যাগিংয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও ২৬ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয় ২৭ নভেম্বর।
সর্বশেষ বুধবার একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং তিতুমীর হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয় মো. তানভীর হাসনাইন, মির্জা মোহাম্মদ গালিব, মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. মুস্তাসিন মঈন, আসিফ মাহমুদ, মুনতাসির আহমেদ খান, মহিবুল্লাহ হক মুগ্ধ ও আনফালুর রহমানকে। এ ছাড়া ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদের জন্য হল থেকে বহিষ্কারের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়।
আবাসিক হল থেকে (বিভিন্ন মেয়াদে) বহিষ্কৃতরা হলেন মো. জাহিদুল ইসলাম, জিহাদুর রহমান, মো. এহসানুল সাদ, আবিদ-উল কামাল, মোহাম্মদ সায়াদ ও মাহমাদুল হাসান রবিনকে। এ ছাড়া ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করা হয়েছে মো. হাসিবুল ইসলামকে।