ইরান পশ্চিম এশিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও বড় গণতান্ত্রিক দেশ। ইরানের বিচার বিভাগের মানবাধিকার অধিদপ্তর এ কথা বলেছে। ইরানের সাম্প্রতিক সহিংসতার ব্যাপারে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের এক দাবির জবাবে বুধবার এক বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন অন্য সবকিছুর আগে ইরানের সাম্প্রতিক গোলযোগ সৃষ্টির প্রচেষ্টায় বিদেশিদের হাত থাকার নিন্দা করবে বলে তেহরান আশা করেছিল।বিশেষ করে মার্কিন কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে হস্তক্ষেপমূলক বক্তব্য দিয়ে এ সহিংসতায় যে উসকানি দিয়েছেন জাতিসংঘের উচিত ছিল তার নিন্দা জানানো।
ইরানের বিচার বিভাগের বিবৃতিতে বলা হয়, ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান জনগণের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ-বিক্ষোভকে স্বাগত জানায়।তবে আমেরিকাসহ অন্যান্য শত্রু রাষ্ট্রের উসকানিতে যেসব দুর্বৃত্ত নিরপরাধ মানুষদের হত্যা করেছে, ব্যাংক-বীমাসহ অন্যান্য সরকারি সম্পদ ধ্বংস ও লুটপাট করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ইরানে দুর্বৃত্তরা যেসব ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে সেগুলোকে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদ নিশ্চয়ই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ বলে দাবি করবে না। ইরান সরকার নিজ দেশের জনগণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সমাজকে দেয়া প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে বলেও বিবৃতিতে জানায়।
ইরানের বিচার বিভাগের মানবাধিকার অধিদপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়, যে আমেরিকা ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এদেশের জনগণের চরম ক্ষতি করছে সেই আমেরিকার গণমাধ্যমে সাম্প্রতিক গোলযোগ সম্পর্কে প্রকাশিত মিথ্যা খবরের ভিত্তিতে জাতিসংঘ মানবধিকার কমিশন যেন তড়িঘড়ি করে কোনো প্রতিবেদন তৈরি না করে বা কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়।কারণ, সেরকম কোনো সিদ্ধান্ত নিলে জাতিসংঘ যেমন তার মানবাধিকার বিষয়ক দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারবে না তেমনি এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তার গ্রহণযোগ্যতা কমে যাবে।