উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনকারী চীনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব পাস করেছে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদ। মঙ্গলবার ৪০৭ জন আইনপ্রণেতা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।
সিনেট এবং প্রেসিডেন্টের অনুমোদনের পরই এটি আইনে পরিণত হবে। জবাবে, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে বেইজিং।
চীনের জিনজিয়ান প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনা সরকারের নৃশংশতা ইস্যুতে মঙ্গলবার প্রতিনিধি পরিষদে সোচ্চার হন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। চীনা সরকার উইঘুরদের নাগরিক, রাজনৈতিক, মতপ্রকাশ, ধর্মীয়, চলাফেরা এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকারকে পদ্ধতিগত ভাবে অস্বীকার করছে বলে অভিযোগ তোলেন তারা। এদিন, নির্বিচারে আটক, নির্যাতন, হয়রানি বন্ধে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে একটি বিল পাস হয় প্রতিনিধি পরিষদে।
মার্কিন পদক্ষেপ, চীনের সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানকে বাধাগ্রস্ত করবে বলে সতর্ক করেছে বেইজিং। চীনবিরোধী পরিকল্পনা বন্ধ না করলে যুক্তরাষ্ট্রকে উচিৎ জবাব দেয়া হবে বলেও, সংশ্লিষ্টদের বরাতে জানিয়েছে চীনা গণমাধ্যম।
কমপক্ষে ১০ লাখ উইঘুর মুসলিম বন্দিশিবির আটক রয়েছেন। বেইজিংয়ের দাবি, কারগরি শিক্ষার মাধ্যমে ধর্মীয় উগ্রবাদ মোকাবিলার প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে তাদের। তথ্য প্রমাণ বলছে, নামাজ কিংবা হিজাব পড়া বা তুরস্কের সঙ্গে সম্পর্ক থাকার মতো কারণে অনেকে আটকে রেখে নির্যাতন চালানো হচ্ছে।