আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিকেল ৪টায় শুরু হবে বৈঠক।
এতে সভাপতিত্ব করবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দলের আসন্ন জাতীয় সম্মেলন নিয়ে আলোচনা প্রাধান্য পাবে। এ ছাড়া সমসাময়িক জাতীয় ও রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে। আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ২১ ও ২২ ডিসেম্বর। সম্মেলন সফল করতে বেশ কিছু প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সারা দেশে চলছে তৃণমূলের সম্মেলন। কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হবে।
সূত্র জানায়, জাতীয় সম্মেলনের আগে জাতীয় কমিটির বৈঠক হওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। ওই বৈঠকেই দলের জাতীয় সম্মেলনের বাজেট অনুমোদন করা হয়।
এ ছাড়া আগামী জাতীয় সম্মেলনে পাস করানোর জন্য দলের যে ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র তৈরি করা হবে, এর খসড়া নিয়েও জাতীয় কমিটিতে আলোচনা হতে পারে। সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা এবং শুদ্ধি অভিযান সম্পর্কে ধারণা দেয়া হতে পারে বৈঠকে।
সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৫ অক্টোবর ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্রের ১৭ (ক) ধারায় উল্লেখ আছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি জাতীয় কমিটি থাকিবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রত্যেক সাংগঠনিক জেলা হইতে একজন করিয়া সদস্য স্ব স্ব জেলা ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল কর্তৃক জাতীয় কমিটিতে নির্বাচিত হইবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মকর্তা, কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যরা এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি কর্তৃক মনোনীত ২১ জন সদস্য এবং উপর্যুক্তভাবে নির্বাচিত ও মনোনীত সদস্যবৃন্দকে লইয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটি গঠিত হইবে। জাতীয় কমিটির মোট সদস্য সংখ্যা হইবে ৮১ (কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ), ৭৮ (সাংগঠনিক জেলা) ২১ জন (সভাপতি কর্তৃক মনোনীত) মোট ১৮০ জন।
জাতীয় কমিটি দায়িত্ব হিসেবে গঠনতন্ত্রে উল্লেখ রয়েছে- (খ) জাতীয় কমিটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদ ও কাউন্সিলের মধ্যে সমন্বয় রক্ষা করিবে। (গ) যে কোনো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কাউন্সিলকে সহায়তা করিবে। (ঘ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সংসদের সিদ্ধান্ত ও কার্যাবলি পর্যালোচনা করিতে পারিবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনী বা বিশেষ অধিবেশনে গৃহীত প্রস্তাবসমূহ কার্যকর করিবে। (ঙ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হিসাব-নিকাশ গ্রহণ ও অনুমোদন করিবে। (চ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক কার্যনির্বাহী সংসদ কর্তৃক গৃহীত শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আপীল বিবেচনা ও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবে। (ছ) সংসদীয় পার্টি পরিচালনার জন্য নিয়মাবলি প্রণয়ন করিবে। (জ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অন্যান্য কর্মকর্তা পদাধিকার বলে জাতীয় কমিটির কর্মকর্তারূপে কার্যক্রম পরিচালনা করিবে। (ঝ) বছরে জাতীয় কমিটির একটি সভা আহ্বান করিতে হইবে। তবে দলের সভাপতির নির্দেশক্রমে একাধিক সভা আহ্বান করা যাবে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী দৈনিক বলেন, জাতীয় কমিটির বৈঠকে দলের আসন্ন সম্মেলনের প্রস্তুতি ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হবে। এ ছাড়া সমসাময়িক রাজনৈতিক ও জাতীয় পর্যায়ের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে বৈঠকে।