রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসা থেকে বৃদ্ধা ও গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোহেল নামের একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) রাতে মিরপুর তাকে আটক করা হয়। সোহেল ওই বৃদ্ধার পালক ছেলে। সন্দেহভাজন হিসেবে গতকাল রাতে তাকে আটক করেছে পুলিশ। সোহেলসহ স্বজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোস্তাক আহমেদ বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে দুজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তে নিশ্চিত হওয়া যাবে। নারীর (রহিমা) এক পালিত ছেলের তথ্য পাওয়া গেছে। তার কাছ থেকে কিছু পাওয়া যেতে পারে।’
এর আগে মিরপুরের ওই বাসা থেকে গতকাল মঙ্গলবার রাতে রহিমা বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা এবং সুমি আক্তার (১৮) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রহিমা বাসার গৃহকর্ত্রী। আর সুমি তাঁর বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, দুজনকে শ্বাসরোধে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। স্বামী-সন্তান ছাড়াই বৃদ্ধা রহিমা একা থাকতেন।রাজধানীর মিরপুরের একটি বাসা থেকে বৃদ্ধা ও গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সহকারী কমিশনার খায়রুল আমিন বলেন, ওই বৃদ্ধার পালিত পুত্রসহ কয়েকজন মাঝেমধ্যে ওই বাসায় যেত বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছে। রহিমা কিভাবে একাই থাকতেন সেটা জানা যায়নি। নিহতের স্বজনদের খোঁজ করে ক্লু বের করার চেষ্টা করা হবে।
পুলিশ সূত্র জানায়, নিহত রহিমার দ্বিতীয়বার বিয়ে হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রথম পক্ষ সম্পর্কে জানা যায়নি। দ্বিতীয় স্বামীও মাঝেমধ্যে তাঁর বাসায় যেতেন। রাশেদা নামে তাঁর একটি কন্যাসন্তান আছে বলে জানা গেছে। রাশেদা নারায়ণগঞ্জে থাকেন।