ঢাকা মহানগরীতে নতুন সড়ক আইনে মামলা দায়ের শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মোটরযানের সব কাগজ ঠিক না থাকা, কাগজ মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না-থাকা ইত্যাদি নানা কারণে মামলা দিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা।
এমনই এক ঘটনার সাক্ষী দৈনিক কালের কণ্ঠের ফটোসাংবাদিক তারেক আজিজ নিশক। আজ দুপুরে গুলশান ট্রাফিক জোনের মহাখালী এলাকায় মোহাম্মদ মেহেদী হাসান নামে একজন ট্রাফিক সার্জেন্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স না-থাকায় ৫০০০ টাকা জরিমানা করেন নদী রক্ষা কমিশনের এক কর্মকর্তাকে। তাঁর নাম শাহাদাত সরকার। শুধু ড্রাইভিং লাইসেন্সই নয়, নদী রক্ষা কমিশনের দপ্তর-কর্তৃক প্রদত্ত ওই মোটরসাইকেলটির কাগজপত্রও মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল। তবে মেয়াদোত্তীর্ণ কাগজের জন্য আলাদা জরিমানা করেননি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সার্জেন্ট মেহেদী।
তবে, কবে থেকে এই আইন কার্যকর হয়েছে- এ নিয়ে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়। কেউ বলছেন, গতকাল থেকেই আবার কেউ বলছেন আজ থেকে এই নতুন সড়ক আইনটি কার্যকর করা হয়েছে। আর তাই বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য কালের কণ্ঠ কথা বলে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মো. আব্দুর রাজ্জাকের সাথে। তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, এটি নিয়ে ধোঁয়াশার কোনো অবকাশই নেই। যে দিন থেকে আইন কার্যকর হয়েছে, সে দিন থেকেই আইনের প্রয়োগ ঘটিয়েছি আমরা। আমরা গতকাল (১ ডিসেম্বর) থেকেই আইন ভাঙার অপরাধে জরিমানা আরোপ শুরু করেছি। এবং এটি চলমান আছে, থাকবে। সকল যান-চালককে নতুন সড়ক আইন মেনে চলারও পরামর্শ দেন এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।