বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ডেকে এনে দুর্ধর্ষ অপরাধীকে ধরলো পুলিশ!

বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ডেকে এনে দুর্ধর্ষ অপরাধীকে ধরলো পুলিশ!

মোট ১৬টি মামলা চলছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে খুনের মামলাও রয়েছে একাধিক। গত এক বছর ধরে দুর্ধর্ষ সেই অপরাধীকে বাগে আনার চেষ্টা করছে পুলিশ। কিন্তু কিছুতেই কাজ হচ্ছে না। তাকে ধরার সব চেষ্টা বারবার ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে ভারতের মধ্যপ্রদেশের বুন্দেলখণ্ড পুলিশের। এর মাঝেই পুলিশের কাছে খবর আসে, পলাতক সেই অপরাধী বিয়ে করার জন্য পাত্রী খুঁজছেন!

ব্যস, সুযোগ কাজে লাগালেন পুলিশ কর্মকর্তারা। একেবারে সিনেমার গল্পের মতো প্লট সাজালেন তারা। অপরাধীকে ধরতে সাজিয়ে গুছিয়ে জাল পেতে রাখল পুলিশ। আর সেই দাগি অপরাধী এসে ধরাও দিল পুলিশের জালে।

বালকিষাণ চৌবেকে গত এক বছর ধরে খুঁজছিল পুলিশ। তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল দশ হাজার টাকা। গত আগস্টে মধ্যপ্রদেশের নওগাঁওতে এক ব্যক্তিকে হত্যার পর পালিয়ে যান বালকিষাণ চৌবে। এছাড়াও রয়েছে চুরি, ডাকাতি ও মারধরের একাধিক অভিযোগ।

বারবার চেষ্টা করেও পুলিশ তাকে নাগালে পাচ্ছিল না। এরপরই বালকিষাণকে ধরতে ফাঁদ পাতা হয়।বুন্দেলখণ্ডের এক নারী পুলিশ সদস্য বালকিষাণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আলাপ জমিয়ে বিয়ের প্রস্তাবও দেন। ফাঁদে পা দেন বালকিষাণ। এর পর বিয়ের দিন আসেন বর সেজে। আর তখনই তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ বলছে, উত্তরপ্রদেশের বিজোরি গ্রামের বাসিন্দা বালকিষাণ চৌবে। বুন্দেলখণ্ডের এক নারী কর্মীর নামে একটি সিম কার্ড জোগার করে বালকিষাণের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছিলেন সেই নারী পুলিশকর্মী।

এক সপ্তাহের মধ্যেই সেই পুলিশকর্মী বালকিষাণকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিজোরি গ্রামের একটি মন্দিরে বিয়ের জন্য উপস্থিত হন বালকিষাণ। আগে থেকেই সেখানে পুলিশকর্মীরা ফাঁদ পেতে রেখেছিলেন।

আন্তর্জাতিক বাংলাদেশ