মজুরি -ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান ফেডারেশনের ডাকে শুক্রবার রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়েছে। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌযান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজে পণ্য ওঠানামা বন্ধ হয়ে গেছে।
এর আগে গত ২৭ নভেম্বর আরো চারটি সংগঠন নৌযান ধর্মঘট এর ডাক দিলেও ওই দিন বিকেলেই আবার প্রত্যাহার করা হয়। তবে ওই দিনে ধর্মঘটে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের অংশগ্রহণ ছিল না। অন্যদিকে আজ শুরু হবে ধর্মঘটের নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ছাড়া অন্য সংগঠনগুলোর অংশগ্রহণ নেই। বরং শ্রমিক লীগসহ অন্যান্য সংগঠনগুলো এবারের ধর্মঘটের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।
নৌযান শ্রমিকদের একটি অংশ বলছে ইতিমধ্যেই সরকার নৌযান মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে তাদের দাবি-দাওয়া বিষয়ে ফলপ্রসূ সমাধান হয়েছে । সরকার ও মালিকপক্ষ তিন মাসের সময় নিয়েছে সব দাবি পূরণের প্রক্রিয়া হিসেবে । তাই এখনই আর কোন ধর্মঘটের প্রয়োজন নেই।
ঢাকা নৌ বন্দরের ট্রাফিক কন্ট্রোল কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, শ্রমিকদের একটি অংশ ধর্মঘটের কথা বন্দর এলাকায় ছড়িয়ে দিলেও বেশির ভাগ শ্রমিকরাই এই ধর্মঘটের পক্ষে নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
ওই কর্মকর্তা জানান আজ নির্ধারিত সময়ে সবগুলো লঞ্চ ঢাকা নৌবন্দর ছেড়ে গেছে। আগামীকাল সকাল থেকে নির্ধারিত শিডিউলের লঞ্চগুলো ঘাটে আছে সকালে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।