ফেনীতে পুড়িয়ে হত্যার শিকার মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির বিভিন্ন অভিযোগের বক্তব্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ফেনীর সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার রায় আজ বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আস-সামছ জগলুল হোসেন এই রায় ঘোষণা করবেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২৭ মার্চ সকাল ১০টার দিকে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা তাঁর অফিসের পিয়ন নূরুল আমিনের মাধ্যমে ছাত্রী রাফিকে ডেকে নেন। পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাঁর শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন অধ্যক্ষ। এ ঘটনায় অভিযোগ করতে গেলে বিচারের বদলে তা ভিডিও করে ছড়িয়ে দিয়ে নুসরাতকে নানাভাবে হেনস্তা করেন সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম।
গত ১৫ এপ্রিল মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দেন।
এরপর ২৭ মে ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রীমা সুলতানা প্রতিবেদন দেন। তদন্ত প্রতিবেদনে তিনি বলেন, ‘ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।’ এরপর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
গত ১৬ জুন দুপুরে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ। পরদিন ১৭ জুন তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। সেই থেকে মোয়াজ্জেম কারাগারে আছেন। গত ১৭ জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ৩১ জুলাই মামলার বাদী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিচার। রাষ্ট্রপক্ষে মোট ১২ জন সাক্ষী ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে নুসরাতের মা, ভাই ও দুই সহপাঠী সাক্ষ্য দেন।