৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস বৃক্ষরোপনে ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার’ পাচ্ছেন ৪৫ ব্যাক্তি

৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস বৃক্ষরোপনে ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার’ পাচ্ছেন ৪৫ ব্যাক্তি

আগামী ৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে ব্যাপক অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করছে সরকার। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিবেশ দিবসের অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। এছাড়া একই দিনে তিন মাস ব্যাপী বৃক্ষরোপন অভিযানেরও অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

রোববার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী জানান, পরিবেশ উন্নয়ন ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণে সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিলো। আমরা এ বছর পরিবেশ উন্নয়নে বিশ্ব পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষরোপন অভিযান একসঙ্গে পালন করছি। তিনি জানান, এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘পরিবেশবান্ধব উন্নয়নে আপনিও গর্বিত অংশীদার হোন’ আর বৃক্ষরোপন অভিযানের প্রতিপদ্য-সবুজ নগর সবুজ দেশ, লাল সবুজের বাংলাদেশ’।

পরিবেশ ও বন মন্ত্রী বলেন, “উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতীয় পরিবেশ পদক ‘বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন’ এবং বৃক্ষ রোপনে ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার’ প্রদান করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।”

ড. হাছান মাহমুদ জানান, এবার ১৫টি ক্যাটাগরিতে ৪৫ জন ব্যক্তি বৃক্ষরোপনে ‘প্রধানমন্ত্রী জাতীয় পুরস্কার’ পাচ্ছেন। এছাড়া তিন জনকে ‘জাতীয় পরিবেশ পদক’, তিন জনকে ‘বঙ্গবন্ধু  অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন’ এবং সামাজিক বনায়নে সর্বোচ্চ আর্থিক সুবিধাপ্রাপ্ত একজনকে পুরস্কার দেওয়া হবে।

মন্ত্রী জানান, পরিবেশ অধিদফতরের এনফোর্সমেন্টের আওতায় পরিবেশ দূষণের অভিযোগে গত তিন বছরে মামলা হয়েছে ৮২৪টি মামলা হয়েছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বর্তমান সরকার পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের ৭ ধারা প্রয়োগ করে এ যাবত প্রায় আট শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে ৭৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী জনসংখ্যার চাপ, দারিদ্র, মানুষের খাদ্য, বাস্তবায়নসহ মৌলিক চাহিদা পূরণ, অপরিকল্পিতভাবে প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ ও বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে পরিবেশগত সমস্যা প্রকট হচ্ছে। এর প্রভাব থেকে বাংলাদেশ মুক্ত নয়।’

উত্তরাঞ্চলের কিছু এলাকা মরুময়তার দিকে যাচ্ছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এ লক্ষ্যে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।’

পলিথিনবিরোধী অভিযান
মন্ত্রী জানান, এ সরকারের সময় পলিথিনবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে ৪৭৩ দিন। জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৬০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। পলিথিন জব্দ করা হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৭৮৭ কেজি। যা বিগত সরকারের চেয়ে অনেক বেশি।

এছাড়া পরিবেশ দূষণের কারণে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তিন হাজার ৮২৩টি নোটিস প্রদান করা হয়েছে। পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ৪১টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুই কোটি ৮৮ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ ধার্য করে এক কোটি ৫৪ লাখ টাকা আদায় করা হয়েছে।

আরো কর্মসূচি
পরিবেশ দিবস ও বৃক্ষরোপন অভিযান উপলক্ষে আগামী ৩ ও ৪ জুন দু’টি পৃথক র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় যাদুঘর থেকে সকাল আটটায় শুরু হয়ে এ র‌্যালি জাতীয় প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হবে। এছাড়া সারাদেশে র‌্যালি ও বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে।

এছাড়া পরিবেশ মেলা, বৃক্ষমেলা জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র, শিশু কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, রচনা প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রচারপত্র প্রকাশ বেতার টেলিভিশনে বিশেষ অনুষ্ঠান করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ