বিশ্বমন্দার পরও তিনদিন ব্যাপী বাটেক্সেপো মেলাতে এবার মোট স্পট অর্ডার এসেছে প্রায় ৬৭ মিলিয়ন ডলার। যা গতবারের চেয়ে দুই মিলিয়ন ডলার বেশি। গত বছরের মেলায় বিক্রির অর্ডার পাওয়া গিয়েছিলো ৬৫ মিলিয়ন ডলার। আর মোট ১৭৫টি দেশ থেকে ৩ হাজার ১৫ জন বিদেশি ক্রেতা প্রতিনিধি মেলায় আসেন। গতবার মেলায় ১৬২ কোম্পানি থেকে ২ হাজার ৮৭০ জন ক্রেতা প্রতিনিধি আসে।
তিন দিন ব্যাপী বাটেক্সপো মেলার সমাপানী উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ এসব তথ্য জানায়।
মঙ্গলবার দুপুরে বিজিএমইএ ভবনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম মহিউদ্দিন লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন। এ সময় বিজিএমইএ সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, এসএম মান্নান কচিসহ বিজিএমইএ পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তিন দিনের মেলায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ব্রাজিল, কলম্বিয়া, জার্মানি, ডেনমার্ক, ইতালি, পেরু, জাপান, হংকং, ভারত, সিংগাপুর, কোরিয়া, মালেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ক্রেতা প্রতিনিধিরা আসেন। এবারের মেলায় ১৫ হাজার ৬৯০ জন দর্শনার্থী আসে। গত মেলায় দর্শনার্থীর সংখ্যা ছিলো ১৪ হাজার ৯০০।’
তিনি বলেন, ‘স্পট অর্ডার এসেছে ৬৪ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন ডলার। আর স্টক লটের অর্ডার পাওয়া গেছে এক দশমিক ৫৮ মিলিয়ন ডলার।’
সভাপতি বলেন, ‘বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। নীতি সহায়তা এবং অবকাঠামো সুবিধা পেলে পোশাক শিল্প খাত হতে আয় আগামী ৩ বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলারে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। বর্তমানে এর পরিমাণ ১৮ বিলিয়ন ডলার।’
তিনি বলেন, ‘মন্দার পূর্বাভাসে আমরা শঙ্কিত। তবে ভীত নই। এখনই প্রস্তুতি নিতে হবে মোকাবেলা করার। অর্ডার কমতে শুরু করেছে। অন্য দেশে চলে যাচ্ছে। এসব কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ২০১২ সালের প্রথম দিকে পরিস্থিতি আরো জটিল হতে পারে।’
সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মেলা উপলক্ষে ল্যাটিন আমেরিকা থেকে একটি দল এসেছে। তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছে। আশা করছি সেখানে আমাদের বাজার আরো সম্প্রসারিত হবে।’