ডেসটিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমিনসহ ১২ পরিচালকের পর রোববার আরও তিন পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত মঙ্গলবার থেকে রোববার পর্যন্ত দুদকে ডেসটিনির ১৫ পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে আরও কয়েকজন উর্ধতন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
রোববার কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী ডেসটিনি ২০০০-এর অন্যতম পরিচালক শেখ তৈয়ুবুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ ও নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ কক্ষে জবানবন্দি দিয়েছেন।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার ডেসটিনির পরিচালকদের মধ্যে রফিকুল আমীন, মোহাম্মদ হোসেইন, গোফরানুল হক ও সাঈদ উর রহমান দুদকে জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার দুদকে জবানবন্দি দিয়েছেন পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, মেজবাহ উদ্দিন স্বপন, ইরফান আহমেদ সানি ও তারিকুল হুদা।
বৃহস্পতিবার ফারাহ দীবা, হোসনে আরা ইসলাম, সেলিনা রহমান ও মিতু রানী বিশ্বাস জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ২৭ মে বিকেলে দুদকের উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকের স্বাক্ষরে ডেসটিনির পরিচালকদের দুদকে হাজিরা দিতে নোটিশ পাঠানো হয়।
নোটিশের নির্দেশানুযায়ী মঙ্গলবার থেকে রোববার পর্যন্ত মোট ১৫ পরিচালক দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাদের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান বলেন, “যেহেতু এ প্রতিষ্ঠানটির (ডেসটিনি) সঙ্গে সাধারণ মানুষের স্বার্থ জড়িত, তাই সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে ডেসটিনির ঊর্ধতন কয়েকজন কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।”
দুদকের তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ব্যক্তিগত একাউন্টে অর্থ স্থানান্তর, অবৈধ ব্যাংকিং ও কয়েকটি অনিয়মের বিষয়ে গণমাধ্যমে যেসব অভিযোগ এসেছে ডেসটিনির ১৫জন পরিচালককে সেসব বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত সেলের পরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার তাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিক ডেসটিনি সংক্রান্ত অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত করছেন।