সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের বিদ্যুতের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও উপদেষ্টারা আরও সক্রিয় হলে বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান হবে। আওয়ামী লীগ সরকার চাইলে কোনো বিদ্যুৎ সমস্যা থাকবে না। কারণ, এই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর টেলিফোন সেক্টরকে উন্নত করে মোবাইল চালু করেছিলো। আর এই সরকারই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ছে।’
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির তৃতীয় তলার মিলনাযতনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা জেলা শাখা আয়োজিত ‘অবাধ- নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য গণতান্ত্রিক সরকারের বিকল্প নেই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নাসিম বলেন,“তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করতে যে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে তা সুপ্রিম কোর্টের ইচ্ছায়, আওয়ামী লীগের স্বার্থে নয়। ১৯৯৪-৯৫ সালে আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রুপরেখা নিয়ে সংসদের ভেতরে ও বাইরে আলোচনা করেছিলাম। বিএনপির মতো জ্বালাও পোড়াও করিনি।“
তিনি বলেন, “তবে এসব করে লাভ হবে না। কারণ, অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন করা হবে না।“
সাংবাদিকদের ওপর উপর্যুপরি পুলিশি নির্যাতনের বিষয়ে তিনি বলেন, “স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে দু:খ প্রকাশ করেছেন। যা একটি গণতান্ত্রিক দেশের মন্ত্রী হিসেবে করা উচিত ছিলো।“
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মো. সেলিম।
এতে আরো বক্তব্য রাখেন-আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ করিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফয়েজউদ্দিন মিয়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সংগীতশিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল প্রমুখ।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেন, ‘বিএনপিকে অনুরোধ করবো আলোচনার একমাত্র পথ সংসদে এসে প্রস্তাব দিতে। তবে তা হতে হবে যৌক্তিক। নির্বাচন কমিশনকে আরও শক্তিশালী করা যেতে পারে। কিন্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আড়ালে কোনো অপশক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হবে না।’