বাংলাদেশের সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরে বিশ্বব্যাংক জানিয়েছে, জ্বালানি ঘাটতির কারণে এদেশে নতুন করে বিনিয়োগ ও প্রকল্প সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
রোববার রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন (আউটলুক রিপোর্ট) প্রকাশ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর এলেন গোল্ডস্টেইন বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে জ্বালানি ঘাটতি হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। একই সংকট বৈশ্বিক অর্থনীতিতেও চলছে।’
বিশ্বব্যাংক বলেছে, ‘২০১০-১১ অর্থবছরে বিনিয়োগ ছিল ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১১-১২ অর্থবছরে সেটা কমে দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ১ শতাংশ। এর কারণ বিনিয়োগকারীরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।’
এলেন গোল্ডস্টেইন বলেন, ‘সাম্প্রতিক কয়েক বছরে পর্যাপ্ত অবকাঠামো, জ্বালানি ও বাণিজ্য সহায়ক পরিবেশ সরবরাহ করতেও সমর্থ হয়নি বাংলাদেশ।’
তিনি বলেন, ‘যদি এসব সমস্য চিহ্নিত করা যায়, বাংলাদেশ দুর্বল বৈশ্বিক অর্থনীতি প্রভাব কাটিয়ে উঠতে পারবে।’
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক পরিচালক আর্নেস্তো মে, প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া, বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন জাতীয় ও বৈশ্বিক অর্থনীতির বিভিন্ন ইস্যু উত্থাপন করেন।
জাহিদ হোসেন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে লিখিত বক্তব্য দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন প্রধান অর্থনীতিবিদ সঞ্জয় কাঠুরিয়া ও দারিদ্র বিমোচন ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ক পরিচালক আরনেস্তো মে।