মাশরাফি বিন মুর্তজার কণ্ঠে প্রায়শ বলে থাকেন, মাঠে ক্রিকেটারদের খেলতে হবে। পারফর্ম করার দায়িত্বও ক্রিকেটারদের।
জাতীয় দলের নতুন কোচ রিচার্ড পাইবাস সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলেও ওপরের বাক্যটির পুনরুক্তি করেছেন, ‘কোচ অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু মাঠে খেলতে হবে ক্রিকেটারদের। কোচ সেখানে কিছু না। অতএব সেভাবে ক্রিকেটারদের তৈরি হতে হবে। কোচের দরকার আছে। কারণ তিনি পরিকল্পনা করবেন। আমরা সেটার বাস্তবায়ন করবো।’
মাশরাফি যতার্থই বলেছেন। কোচকে পকিল্পনাকারী বলা হয়। তিনি অনুশীলনের পদ্ধতি এবং সূচি করে দেন। ক্রিকেটাররা সে অনুযায়ী প্র্যাকটিস করে খেলার জন্য তৈরি হন। কিন্তু মাঠের খেলা শেষপর্যন্ত ক্রিকেটারদের খেলতে হয়। জাতীয় দলের নতুন কোচ রিচার্ড পাইবাসকে নিয়ে মাশরাফি সে জন্য অতি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নি।
পাইবাস কত বড় কোচ দায়িত্ব নেওয়ার ১৫ দিন পর থেকে প্রমাণ দিতে হবে হবে তাকে। জিম্বাবুয়েতে ১৭ থেকে ২৪ জুন যে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে পাইবাস যুগের সূচনা। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ের সঙ্গে কেমন খেলে বাংলাদেশ দল তা দেখার বিষয়। জুলাইয়ের ১৮ থেকে ২৫ তারিখ আয়ারল্যান্ড এবং হল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। এরপর ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোতে চার জাতি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে আগস্টের শেষ থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত।
কোচকে আসল পরীক্ষা দিতে হবে সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। বাংলাদেশ দল গ্রুপ ম্যাচে পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের মতো প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করবে। এই দুই ক্রিকেট পরাশক্তির বিপক্ষে কতটা সফল হতে পারবে বাংলাদেশ দল তা এখনই বলা যাবে না। তবে বিশ্বকাপের আগে পর পর তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলায় অনেক ভালো ফর্মে থাকতে পারে বাংলাদেশের। এখানেও ক্রিকেটারদের তৈরি হতে হবে। কোচের নির্দেশনা মেনে মাঠে ভালো খেলতে হবে তাদের।