তরুণীর শ্লীলতাহানি ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার, ৫ জন সাসপেন্ড

তরুণীর শ্লীলতাহানি ৩ পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার, ৫ জন সাসপেন্ড

ঢাকার জজ কোর্টে বিচারপ্রার্থী তরুণীর শ্লীলতাহানির ঘটনায় পুলিশের এক এসি (অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার) ও ২ ওসিকে  (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া আরও ৪ পুলিশ কর্মকর্তা ও এক কনস্টেবলকে সাসপেন্ড (সাময়িক বরখাস্ত) করা হয়েছে।

প্রত্যাহার করা কর্মকর্তারা হলেন, ডিএমপির কোতোয়ালী জোনের এসি রাজীব আল মাসুদ,  কোতোয়ালী থানার ওসি সালাউদ্দিন এবং বংশাল থানার ওসি (তদন্ত)  ইন্সপেক্টর ফারুক হোসেন।

আর সাময়িক বরখাস্তরা হলেন, বংশাল থানার এসআই জিয়ারত, কোতোয়ালী থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই এবিএম নাজমুল হক, এএসআই আমির আফজাল, এএসআই নূরুজ্জামান ও কনস্টেবল বাবুল।

শনিবার সন্ধ্যায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, ডিএমডি সদর দফতর থেকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে লালবাগ অঞ্চলের ডিসি হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত ৩০ মে এ ঘটনার প্রতিবাদকারী সাংবাদিক ও আইনজীবীদের নির্যাতনের ঘটনায় আট পুলিশ কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট।

এদিকে একটি সূত্র জানায়, এ ঘটনায় মোট ৫জন পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হলো। এর আগে ২ জনকে প্রত্যাহার করা হয় এবং শনিবার ৩ জনকে প্রত্যাহার করা হলো। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলছে। দোষী সাব্যস্ত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দুপুরে কোতোয়ালী থানার এসআই জামান ও এসআই জাহাঙ্গীর ওই নারীকে পুলিশ ক্লাবে নিয়ে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে ওই নারী অভিযোগ করেছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে পুলিশের হেনস্থার শিকার হযন ‍দুইজন আইনজীবী ও তিনজন সাংবাদিক।

ঘটনার শিকার ওই নারী জানান, তিনি তার স্বামীর অত্যাচার-নির্যাতনের বিরুদ্ধে মামলা করতে মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আসেন। এসময় কোতয়ালী থানার এসআই জামান ও জাহাঙ্গীর পাশের পুলিশ ক্লাবের ভেতরে নিয়ে তার গায়ে হাত দেন। তাকে জড়িয়ে ধরাসহ শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন।

জানা গেছে, মেয়েকে আদালতের ভেতরে নেওয়ার জন্য সঙ্গে আসা বাবা ফারুক আহমেদ প্রতিবাদ করলে তাকেও মারধর করা হয়। ঘটনার সময় অনেক মানুষ ক্লাবের সামনে জড়ো হন ও প্রতিবাদ করেন।

এসময় প্রতিবাদকারী সাখাওয়াত ও রাজু নামের দুই আইনজীবী, কালের কণ্ঠের আদালত প্রতিবেদক এম এ জলিল উজ্জ্বল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের আদালত প্রতিবেদক তুহিন হাওলাদার, প্রথম আলোর আদালত প্রতিবেদক প্রশান্ত কর্মকারকে পুলিশ মারধর করে।  এছাড়া চ্যানেল আইয়ের প্রতিবেদক পরাগ আজিমের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সালাউদ্দিন খান। পরে দুই আইনজীবীকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

ওসি সালাউদ্দীন খান ও সহকারী কমিশনার (এসি) রাজিব আল মাসুদের নির্দেশে পুলিশ তাদের বেধড়ক লাঠিপেটা করে বলে তারা জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ