বাহরাইনের মানামা শহরের একটি বাসায় আগুনের ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হতভাগ্য ১০ বাংলাদেশি শ্রমিকের লাশ দেশে আনা সম্ভব হয়নি। চারটি কারণে লাশগুলো আসতে বিলম্ব হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানায়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার অনুবিভাগের মহাপরিচালক সুলতানা লায়লা হোসেন বাংলানিউজকে জানান, গত ২৯ মে লাশ ফেরতের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তবে দেশটির আইন মন্ত্রণালয়, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও সিটি করপোরেশনের ছাড়পত্র না পাওয়ার কারণে লাশ দেশে আনতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে কাগজপত্রগুলো নেওয়ার জন্য বাহরাইনের বাংলাদেশ দূতাবাস চেষ্টা চালাচ্ছে।
গত ২৭ মে বাহরাইনের রাজধানী মানামা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে পূর্ব রিফা এলাকায় একটি বাসার আগুনে ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় ১০ শ্রমিক। নিহতরা হলেন-কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সিদ্দিক (২৮), মোহম্মদ হানিফ (৬০), তার ভগ্নিপতি মোহম্মদ সোলায়মান (৪২) জামাতা জামিয়া গ্রামের মনির হোসেন (৩০), মনিপুর গ্রামের নূরুল ইসলাম (৪৫) উত্তরদা গ্রামের আনোয়ার হোসেন (৪০) সুসন্দা গ্রামের আবু তাহের (৩৮), চৌদ্দগ্রামের আবুল হাশেম (৩৫) ও চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার সৈয়দ আহমদ (৪০)।
২৮ মে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে ছিল, বাংলাদেশিদের লাশ ফেরত ব্যাপারে তারা প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এরই মধ্যে শ্রমিকদের পরিচয়পত্র এবং যে কোম্পানিতে তারা কর্মরত ছিলেন তাদের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র সংগ্রহ করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।