দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘আপনার নেত্রীকে একবার পদত্যাগ করিয়ে দেখান। আপনার নেত্রীরও দায়িত্ব নিয়ে অনেক কথা রয়েছে। তিনিও দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তারও পদত্যাগ করা উচিত। কারণ বিরোধী দলীয় নেত্রী হিসেবে তিনি কোনো দায়িত্ব পালন না করে শুধু পদ রক্ষা করার জন্যই সংসদে যান।’
শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে বঙ্গমাতা পরিষদ ঢাকা মহানগর আয়োজিত ‘বঙ্গমাতার আদর্শ বাস্তবায়নে শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ রাজিয়া মতিন চৌধুরীর অবদান শীর্ষক’ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সংসদীয় গণতন্ত্রে খালেদা জিয়া অল্টারনেটিভ প্রাইম মিনিস্টার (বিকল্প প্রধানমন্ত্রী)।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাড়াবাড়ি করছে, এটাকে কেউই সমর্থন করে না। পুলিশের মারমুখী আচরণের ইতিহাস আছে। কারণ স্বৈরাচারী সরকার তাদের মসনদ টিকিয়ে রাখতেই পুলিশকে ব্যবহার করেছিল। পুলিশের সাম্প্রতিক আচরণের জন্য আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এরপরেও মওদুদরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদত্যাগ চান।’
তিনি মওদুদকে লক্ষ্য করে বলে, ‘আপনি পদত্যাগ করে দেখান। কারণ আপনিও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। আপনারও দায়িত্ব নিয়ে সমালোচনা রয়েছে। অন্যের দোষ-ক্রটি কাঁধে নিয়ে আমিও পদত্যাগ করে দেখিয়ে দিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘গণতন্ত্রে গণমাধ্যমেরও জবাবদিহিতা আছে জনগণের কাছে। গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম একে অপরের সঙ্গে পরিপূরক। সরকার ও বিরোধী দলকে একে অপরের কাছে জবাবিদিহি করতে হবে। তবেই গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘রাজনীতিবিদরাই বড় দেশপ্রেমিক হয়, কথাটি ঠিক নয়। কারণ অন্য পেশায় থেকেও বড় দেশপ্রেমিক হওয়া যায়।’
বঙ্গমাতা পরিষদের সভাপতি শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. সেলিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ।