রায় ঘোষণার পর বাবরি মসজিদের জায়গায় রামমন্দির তৈরি হবে। আজ শনিবার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, বাবরি মসজিদের জন্য অন্য জায়গায় জমি দেওয়া হবে।
কিন্তু কিভাবে মন্দির নির্মাণের কাজ এগিয়ে যাবে, সে ব্যাপারে জল্পনা শুরু হয়েছে এরই মধ্যে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আদৌ কাজ শেষ হবে কিনা, তা নিয়েও বাড়ছে কৌতূহল। তবে শীর্ষ আদালতের রায়ের পর যে রূপরেখা সামনে এসেছে, তাতে দেখা যায়, মন্দির তৈরি এবং মসজিদের জন্য জমি জোগাড়, দুই ক্ষেত্রেই বড় ভূমিকা থাকছে কেন্দ্রীয় সরকারের।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী তিন মাসের মধ্যে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিতর্কিত ওই জমি তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। একই সঙ্গে, অযোধ্যার গুরুত্বপূর্ণ কোনো স্থানে মসজিদ নির্মাণের উপযুক্ত জায়গা বের করতে হবে। সেই জমি তুলে দিতে হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের হাতে।
বাবরি মসজিদের বিতর্কিত ওই জমির ওপর নির্মোহী আখড়ার দাবি খারিজ করে দিয়েছে ভারতের শীর্ষ আদালত। তার বদলে গোটা জমি তুলে দেওয়া হয়েছে অন্যতম মামলাকারী রামলালা বিরাজমানের হাতে।
তবে বিতর্কিত ওই জমির উপর অধিকার থাকলেও, কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত ট্রাস্টই যাবতীয় কাজকর্মের দেখভাল করবে। এমনকি বিতর্কিত ওই জমি সংলগ্ন পুরো ৬৭ একর জমির দেখভালের দায়িত্বও ওই ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজকর্ম কিভাবে এগিয়ে যাবে, সেজন্য আলাদা করে তৈরি হবে নিয়ম। বিতর্কিত ওই জমিতে নির্মোহী আখড়ার দাবি যদিও খারিজ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে ১৪২ ধারার আওতায় বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাদের আদালত জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত ওই ট্রাস্টে নির্মোহী আখড়ার প্রতিনিধিদের রাখা যাবে।
শীর্ষ আদালতের রায়কে এরই মধ্যে স্বাগত জানিয়েছে বিজেপি, কংগ্রেসসহ একাধিক রাজনৈতিক দল। তবে অসন্তোষও ধরা পড়েছে অনেকের গলায়। অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য কামাল ফারুখি বলেন, এর পরিবর্তে একশ একর জমি দিয়েও লাভ নেউ। আমাদের ৬৭ একর জমি কেড়ে নিয়ে এখন দান করছে? ৬৭ একরের পরিবর্তে ৫ একর দিচ্ছে।
তবে মুসলিম পক্ষ শীর্ষ আদালতের ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাবে না বলে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে।