ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। সেখানে সরকার গড়া নিয়ে এখনো দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠতে পারেনি ক্ষমতাসীন বিজেপি এবং শিবসেনা। সরকার গড়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র তুলে দেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, দল, সহকর্মী ও শিবসেনাকে ধন্যবাদ জানান দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকেও আক্রমণের নিশানা করতে ছাড়েনি শিবসেনা, তারা যথেষ্ঠ গুরুত্বপূর্ণ জোটসঙ্গী। গত ১৫ দিনে শিবসেনার মন্তব্য বা তাদের দাবিদাওয়া, কোনোটাই আমরা প্রতিশ্রুতি দিইনি। শিবসেনাকে আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেওয়া নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি, অন্তত আমার উপস্থিতিতে।
কাল শনিবার বিধানসভার মেয়াদ শেষ হতেই সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে। মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় বিজেপি ও শিবসেনা জোট, তারপর থেকেই তাদের মধ্যে তৈরি হওয়া মতবিরোধ এখনো মেটেনি।
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আমি বিভিন্ন সময়ে তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। এমনকি আমি তাকে ফোনো করেছিলাম, তবে তিনি কথা বলেননি। শিবসেনা সচেতনভাবে নিশ্চিত করেছে যে, বিজেপির সঙ্গে কোনো কথা নয়, তবে কংগ্রেস ও এনসিপির সঙ্গে কথা।
গত ২৪ অক্টোবর মহারাষ্ট্র বিধানসভার ফলাফল ঘোষণার দিন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে পাঁচ বছরের মধ্যে আড়াই বছরের মুখ্যমন্ত্রীর পদ এবং বাকি মন্ত্রিসভায় ৫০-৫০ ক্ষমতা ভাগাভাগির দাবি তুলে বিজেপিতে বার্তা দেন।
দ্বিতীয়বার পূর্ণ সময়ের মুখ্যমন্ত্রী পদের ব্যাপারে আশাবাদী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। শিবসেনার প্রস্তাব খারিজ করে দেন তিনি। তবে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদসহ মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকটি গুরুত্ব পদের প্রস্তাব দেওয়া হয় শিবসেনাকে, যাতে জোটসঙ্গীর সঙ্গে তাদের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।
দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, এভাবে সরকার গড়তে পারবে না শিবসেনা। বিজেপি জোট গড়তে চায়, ভাঙতে নয়।
২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় ১০৫ আসনে জিতেছে বিজেপি। শিবসেনার ঝুলিতে রয়েছে ৫৬টি আসন এবং জোটের পক্ষে মোট আসন সংখ্যা ১৬১; যা সরকার গঠনের জন্য যথেষ্ঠ।