সোমালিয়ায় সম্ভাব্য ‘নেতৃত্বশূন্যতা’র ব্যাপারে সর্তক করলেন বান কি মুন

সোমালিয়ায় সম্ভাব্য ‘নেতৃত্বশূন্যতা’র ব্যাপারে সর্তক করলেন বান কি মুন

যুদ্ধবিধ্বস্ত সোমালিয়ার জন্য জরুরি আন্তর্জাতিক সাহায্যের আহবান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। আগামী আগস্ট মাসে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশটিতে ক্ষমতাশূন্য পরিস্থিতির সুযোগ সৃষ্টি না হওয়ার ব্যাপারেও সর্তক করে দেন তিনি। এ ধরণের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে দেশটির যুদ্ধবাজ নেতারা এর সুযোগ নিতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শুক্রবার এ প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্যে তিনি বলেন,‘ নির্বাচনকে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষ না থাকার সুযোগকে যুদ্ধবাজ নেতারা কাজে লাগানোর আগেই আমাদের উচিৎ সোমালিয়াকে সাহায্য করা। আমি সোমালিয়ার জটিল পরিস্থিতি উত্তরণে সহায়তার জন্য দাতা দেশগুলোকে অংশ নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি। সন্ত্রাস, জলদস্যুতা ও খরা মোকাবেলায় এখন সোমালিয়ার প্রয়োজন সহমর্মিতা ও সহযোগিতা।’

তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অনুষ্ঠিত হওয়া সোমালিয়া বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নেন বান কি মুন। সম্মেলনে দেওয়া তার বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে অংশ নিয়েছে বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধি ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা।

ইস্তাম্বুলে সোমালিয়া বিষয়ক এ বৈঠক এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন দেশটির সরকারি বাহিনী আফ্রিকান ইউনিয়ন বাহিনীর সহায়তা সরকার বিরোধী আল শাবাবকে পরাজিত করার প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

১৯৯১ দেশটিতে শুরু হওয়া ক্ষমতার লড়াইয়ে সোমালিয়ায় এ যাবৎ প্রায় ৪ লাখ লোক প্রাণ হারিয়েছে বলে ধারণা করা হয়। সম্মেলনে অংশ নেওয়া সোমালিয়ার প্রেসিডেন্ট শরিফ শেখ আহমেদ বলেছেন তার দেশের এখন প্রয়োজন অবকাঠামোকে ঢেলে সাজানো। তবে তিনি এ কার্য্যক্রমকে একটি খরচসাপেক্ষ ব্যাপার বলে উল্লেখ করে বলেন তার দেশের সম্পদ খুবই সীমিত।

সম্মেলনের আয়োজক দেশ তুরস্ক গত বছর সোমালিয়ায় ব্যাপক সাহায্য কর্মসূচি পরিচালনা করে। তাদের পক্ষ থেকেও সোমালিয়ায় জরুরি সাহায্যের প্রেরণের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভাগলু তার বক্তব্যে বলেন, সোমালিয়ার এ মুহূর্তে অনেক বেশি সহায়তার প্রয়োজন। এছাড়া সম্মেলনের প্রথম দিনে তুরস্কের সহকারী প্রধানমন্ত্রী বেকির বোজদাগ বলেন, সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসুতে বর্তমানে ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। সরকারি বাহিনী ইসলামপন্থি সশস্ত্র গ্রুপকে হটিয়ে দেওয়ায় এটি সম্ভব হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পাশাপাশি সম্মেলনে অংশ নেওয়া ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগও মোগাদিসুর নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটেছে বলে উল্লেখ করেন। সম্প্রতি তার দেশের তিন মন্ত্রীর মোগাদিসু সফরকে ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন তিনি।

আন্তর্জাতিক